কালীপুজো – উৎসের সন্ধানে
নিউজ ডেস্ক::‘কালী’ পুজোর কালী শব্দটির কালো থেকে।অর্থাৎ কালো ভয়ঙ্কররুপী দেবী হলো কালী।ভারতীয় পুরান মতে,আদ্যাশক্তি মহামায়ার অন্যতম একটি রূপ হলো কালী।
জানা যায় নবদ্বীপের কৃষ্ণনন্দ নামে এক তান্ত্রিক প্রথম এই বঙ্গে কালীপুজো শুরু করেন।অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচদ্র কালিপুজোকে জনপ্রিয় করে তোলেন।
পূরাণে দেবী কালীর একাধিক রূপের কথা পাওয়া যায়।যেমন দক্ষিণাকালী,শ্মশানকালী,ভদ্রকালী,চামুন্ডা, ছিন্নমস্তা প্রভৃতি।অন্য এক ভারতীয় মাইথলজিতে কালীর অন্য অনেক রূপের কথা আছে।যেমন কালকালী,কঙ্কালকালী,চিকাকালী ইত্যাদি।এছাড়াও বিভিন্ন মন্দিরে ব্রহ্মময়ী,আনন্দময়ী,ভবতারিণী ইত্যাদি নামেও কালীর উপাসনা করা হয়।
প্রথা অনুযায়ী মহালয়ার পরবর্তী অমাবস্যা তিথিতে কালী পূজা করা হয়।এছাড়াও মাঘমাসে রটন্তি কালীপূজা ও জ্যৈষ্ঠে ফলহারিণী কালীপূজা করা হয়।এছাড়াও তান্ত্রিকরা প্রতি অমাবস্যায় ও প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দেবী শক্তির আরাধনা করেন।