ধনতেরাস উৎসব – অবাঙালি থেকে বাঙালি
নিউজ ডেস্ক::‘ধন’ অর্থ সম্পদ আর ‘তেরাস’ হলো ত্রয়দশী তিথি।লক্ষ্মীপূজার ঠিক দু’দিন আগে থেকে এই উৎসব শুরু হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীর মানুষেরা মূলত এই দিন শুভ বলে মনে করেন। এই দিন শুভ মনে করা হয় বলে বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো করেন। আর মাত্র কয়েকটা দিন পরই দীপাবলী। মূলত অবাঙালিদের মধ্যে এর প্রচলন থাকলেও এখন বাঙালিদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এই উৎসব। এই উৎসবে মূলত সোনা কেনা হয়। সোনা না কিনতে পারলেও যে-কোনও ধাতুই কেনাকে শুভ বলে মনে করা হয়।
দীপাবলী মূলত পাঁচ দিনের উৎসব। এর আর এক নাম আছে— ধনাত্রয়োদশী বা ধনবত্রী ত্রয়োদশী। দীপাবলীর সময় লক্ষ্মীপুজোর দিন দুই আগে ধনতেরাস হয়। বলা হয়, ধনতেরাসের দিন দেবী লক্ষ্মী তার ভক্তদের গৃহে যান ও তাঁদের ইচ্ছাপূরণ করেন। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে এই দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা এ দিন দামি ধাতু কেনেন। সম্পদের দেবতা কুবেরও এ দিন পূজিত হয়।
লোকশ্রুতি আছে রাজা হিমারের এক অভিশাপ ছিল, তার ছেলে বিয়ের দিন রাতে সাপের কামড়ে মারা যাবে। স্ত্রীও জানত সেই কথা। তাই সেই অভিশপ্ত দিনে সে তার স্বামীকে সে দিন ঘুমোতে দেয়নি।
শোয়ার ঘরের বাইরে সে সমস্ত গয়না ও সোনা-রূপার মুদ্রা জড়ো করে রাখে। সেই সঙ্গে সারা ঘরে বাতি জ্বালিয়ে দেয়। স্বামীকে জাগিয়ে রাখতে সে সারারাত তাকে গল্প শোনায়, গান শোনায়। পরের দিন যখন মৃত্যুর দেবতা যম তাদের ঘরের দরজায় আসে, আলো আর গয়নার জৌলুসে তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে যায়। রাজপুত্রের শোয়ার ঘর পর্যন্ত তিনি পৌঁছন ঠিকই। কিন্তু সোনার উপর বসে গল্প আর গান শুনেই তাঁর সময় কেটে যায়। সকালে কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যান তিনি। রাজপুত্র বেঁচে যায়।পরের দিন সেই আনন্দে ‘ধনতেরাস’ পালিত হয়।