জঙ্গলমহলে আদিবাসীদের জমি আত্মসাৎ – ধরা পড়লো ধনঞ্জয় পাল
নিউজ ডেস্ক::সমস্ত ঝাড়গ্রাম জুড়ে নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে জমি মাফিয়ার দল।সাধারণভাবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ খুব সহজ-সরল হয়।সেই সুযোগ নিয়ে তাদের নামে নথিভুক্ত জমি মিথ্যা দলিল বানিয়ে বিক্রি করা শুরু হয়েছে।
খবরে প্রকাশ,আদিবাসী এবং শবরদের জমি জাল দলিল করে তা বিক্রি করার অভিযোগ জঙ্গল মহলে। তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার এক। আর এক অভিযুক্ত বেআইনি স্পঞ্জ আয়রন কোম্পানি র মালিক এর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি।
জাল নথি বানিয়ে শবরদের জমি দখল করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত ব্যক্তির নাম ধনঞ্জয় পাল। এদিন শুক্রবার তাঁকে ঝাড়্গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন।
ঝাড়গ্রাম জুড়ে রমরমা জমি মাফিয়া। প্রশাসনের একটা অংশ ভূয়ো দলিল বানিয়ে জমি হস্তান্তরে ভূমিকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ। ঝাড়গ্রামের এক বেআইনি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা এই কাজে মাষ্টার মাইন্ড বলে অভিযোগ গ্রামবাসী দের। তারা ঝাড়গ্রামের জিতুশোল এলাকায় একাধিক আদিবাসী দের জমি, ফরেষ্টের জমি, জোর করে দখল করে ভুয়ো দলিল বানিয়ে সে জমি দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক এ মডগেজ দিয়ে টাকা নিয়েছে। এমনকি সরকারি ক্যানেল ও জোর করে দখল করে তার উপর বাউন্ডারি ওয়াল তুলে দেওয়ার অভিযোগ।
অথচ এক্ষেত্রে একাধিকবার জেলাশাসক পুলিশ প্রশাসন, বনদফতর কে অভিয়োগ জানিয়েও কোনো অজ্ঞাত কারণে কোনো সুরাহা হয়নি।
তবে এবার তারা আশাবাদী শবরদের জমি উদ্ধার এ প্রশাসনের ভূমিকায়। পুলিশের বক্তব্য এর পেছনে যে বা যারাই থাকুন তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। কি করে ভুয়ো দলিল বের হচ্ছে আর কারা এসব করছে তা জানতে ধনঞ্জয় কে চার দিন নিজেদের হেপাজতে নিয়ে জেরা করবে পুলিশ।
জানা গিয়েছে শবরদের জমির কাগজ নকল করে নিজের নামে করে সে জমি আরো একাধিক লোককে বিক্রি ও করে দেওয়া হয়েছিলো। এই ঘটনা সামনে আসতেই জিতুশোল ও তার পার্শ্ববতী এলাকার মানুষ ক্যামেরার সামনে বেআইনি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে মুখ খোলে।
ঠিক একি ভাবে জিতুশোল সহ পাশ্ববর্তী গ্রামের আদিবাসী ও ফরেষ্টের জমি গুলোও একাধিক ভুয়ো দলিল বের করে কোটি কোটি টাকা জমি কেলেঙ্কারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শবর দের জমি জালিয়াতির ঘটনার পর এই সমস্ত জমিরও তদন্তের দাবি করছেন এলাকাবাসী।
ধৃতের বিরুদ্ধে জাল নথি তৈরি সহ একাধিক মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
কোনো সভ্য নগরে এই ঘটনা হওয়া স্বাভাবিক না।মনেহয় প্রশাসন বা প্রশাসনিক দল এ বিষয়ে বড়ই উদাসীন।অন্যথায় এ ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক নয়।