বিমানবন্দরে স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ
নিউজ ডেস্ক::মঙ্গলবার ভোরে দিল্লি উড়ে যাওয়ার ঠিক আগে কোলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন।
মঙ্গলবার ভোরে পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার আগে বিজেপির কোর কমিটিতে তাকে স্থান দেওয়া নিয় বলেন…..
রাজ্যের যারা নেতা তারা সামনে আছেন। আর পদাধিকার বলে আমিও আছি, আমি প্রেসিডেন্ট ছিলাম ৬ বছর। আমাদের পার্টির সিস্টেম অনুযায়ী যেখানে থাকার কথা সেখানেই আছি।……. প্রাক্তন সভাপতি হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে আছি সেটাই নাড্ডাজি করে পাঠিয়েছেন।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, ওদের জীবনের ৮ টা বছর কেড়ে নিয়েছে এই দুর্নীতিগ্রস্থ সরকার। সরকারের কোন হেলদোল নেই। কেউ কোন কথা দিচ্ছে না শুধু ড্রামা হচ্ছে। ডেকে নিয়ে গিয়ে কথা বলছে, এখন যা পরিস্থিতি সরকার থাকবে কিনা, কদিন থাকবে সরকারের নেতারা কোথায় থাকবে এই নিয়ে তারা সরকার বেশি চিন্তিত তাই স্বাভাবিকভাবে ওদের উদ্বেগ বেড়েছে জানিনা কতদিনে কি হবে।
শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,
এটা উনিই বলতে পারবেন। কিন্তু যেভাবে সিবিআই এবং ইডি সক্রিয় হচ্ছে নেতারা ধরা পড়ছে মন্ত্রী এমএলএ যদি এভাবে অ্যারেস্ট হতে থাকে তাহলে সরকারটা চালাবে কে সবাই তো ভেতরে চলে যাবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন….. টাকা নিলে টাকা হিসেব দিতে হবে। এখানে কোন হিসাব নেই টাকা কোথায় যাচ্ছে কেউ জানে না। কত বড় দুর্নীতি ৬২ লক্ষ রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। মাসে যদি একটা কার্ডে ৩০০ টাকা যায় তাহলে কত হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে।এবারে জব কার্ড সাড়ে ১৪ লক্ষ জব কার্ড বাতিল হচ্ছে। ভুয়ো কার্ড যার কার্ড তার কাছে নেই অন্য কারো কাছে নেতার বাড়িতে পার্টি অফিসে আছে তার বিরুদ্ধে কাজ, কাজের টাকা আসছে অন্য কারো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে তার কারণ অন্য লোকের অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া আছে। তাতে প্রায় বছরে ১৬০০ কোটি টাকা লুট করছে টিএমসির নেতারা। এইসব দেখার পরে স্বাভাবিকভাবে টাকা বন্ধ করে দিয়েছে টাকা তো লুটের জন্য না গরিব লোকের জন্য গরিব লোকের কাছে টাকা পৌঁছেছে না তাই কেন্দ্র সরকার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।
সি আই ডি কয়লা পাচার কান্ড বন্ধ করতে চাইছে , এই বিষয়ে তিনি বলেন….., বন্ধ হওয়া উচিত কিন্তু বন্ধ হচ্ছে কোথায় পার্টি পুলিশ সরকার সবাই লেগে আছে পাচারের সঙ্গে।
অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জির মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন,….. ঠিক আছে প্রকল্প চালান না, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? প্রকল্প তো টাকা লোটার জন্য হচ্ছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে কাউকে অপমান করে অসম্মান করে কিছু করা যাবে না, ওরা সম্মান করতে শেখেনি ছোটলোকদের পার্টি।
বেশ রসিকতার সুরে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তিনি ঢুকে পড়েন বিমানবন্দরের ভিতরে।