গান্ধী NGO র বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কড়া পদক্ষেপ

0 0
Read Time:4 Minute, 26 Second

নিউজ ডেস্ক::রাজীব গান্ধীর নামে যে দুটো NGO আছে তার বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ নিলো বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার।
সূত্রের খবর,রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন বা আরজিএফ এবং রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট বা আরজিসিটি-র, ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট লাইসেন্স বাতিল করল কেন্দ্র। গান্ধী পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন এই দুই এনজিও-র বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালেই এই অনিয়মের তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির তদন্তের পরই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এরপর তদন্তের ভার সিবিআই-কে হস্তান্তর করা হবে।

এই আন্তঃমন্ত্রক তদন্ত কমিটিতে ইডি ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রক এবং সিবিআই-এর আধিকারিকরা ছিলেন। এই দুই এনজিও-র আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় নথির হেরফের, তহবিলের অপব্যবহার এবং চিন-সহ বিদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহের সময় অর্থ পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তদন্ত হয়েছে ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট নামে অপর একটি গান্ধী পরিবার নিয়ন্ত্রিত এনজিও-র বিরুদ্ধেও। তবে, এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


কেন্দ্রীয় তদন্তমন্ত্রকের সূত্রে জানা যাচ্ছে,আরজিএফ এবং আরজিসিটি – দুই সংস্থারই প্রধান প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। এছাড়া, প্রথম সংস্থায় সদস্য হিসেবে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। দ্বিতীয় সংস্থাটিতেও সদস্য হিসেবে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। এছাড়া আছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ অশোক এস গাঙ্গুলি।
২০০২ সালে দেশের বঞ্চিত মানুষদের, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার দরিদ্রদের উন্নয়নের জন্য আরজিসিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বর্তমানে এই এনজিও উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানায় র দরিদ্রতম অঞ্চলগুলিতে কাজ করে। রাজীব গান্ধী মহিলা বিকাশ পরিকল্পনা এবং ইন্দিরা গান্ধী চক্ষু হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র – দুটি উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এই সংগঠন।

অন্যদিকে আরজিএফ সংস্থার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৯১ সালে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই সংস্থা সক্রিয় ছিল। স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, নারী ও শিশু, প্রতিবন্ধী সহায়তা, শিক্ষার মতো বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা উন্নয়নের কাজে জড়িত ছিল এই সংস্থা।
কিন্তু এই সংস্থা দুটির আয়-ব্যয়ের হিসাবে বেশ কিছু গন্ডগোল চোখে পড়ার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।স্বাভাবিক কারণেই কংগ্রেসের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ জমা হয়েছে।তারা বলছে শুধুই প্রতিশোধ স্পৃহা থেকেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।কংগ্রেসের মুখপাত্র এই নিয়ে কোর্টে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!