ভূত চতুর্দশী ও ১৪ শাক
নিউজ ডেস্ক::আজ কালী পুজো।গতকাল গেলো ভূত চতুর্দশী !
কার্তিক মাসের অমাবস্যায় হয় কালী পুজো | আর তার আগের দিন যে চতুর্দশী‚ তাকে বলে ভূত চতুর্দশী | ভূত চতুর্দশী রাতে জ্বালানো হতো ১৪ প্রদীপ | তার আগে এদিন দুপুরে ভাতের সঙ্গে থাকতই ১৪ রকম শাক ভাজা |
রামচন্দ্রের ১৪ বছর বনবাসের কাহিনি এর সঙ্গে যুক্ত হলেও মূল বিষয় কিন্তু চতুর্দশী তিথি | দীপ জ্বালানো হতো রাতের অন্ধকার দূর করতে | বলা হয় এইভাবে চোদ্দ পুরুষকে আলোদান করে বর্তমান প্রজন্ম |প্ৰচলিত কিংবদন্তী হলো,এই চতুর্দশী তিথিতে কিছু সময়ের জন্য স্বর্গ ও নরকের দরজা খুলে দেওয়া হয়।আমাদের পূর্বপুরুষেরা ভূতরূপে আমাদের দেখতে আসে।আশীর্বাদ করে।তাই তাঁদের আলো দেখানোর জন্যই এই ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। বহু বাড়ির ছাদে কার্তিক মাস জুড়ে আকাশপ্রদীপ জ্বালানোর রীতি এখনও দেখা যায় | ১৪ শাক ভক্ষণের বিষয়টি স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় | এই সময়ে মরসুম পাল্টায় | বাতাসে জায়গা করে নেয় হিমেল পরশ | তাই শরীর ভাল রাখতে ১৪ রকম শাক খাওয়ার বিধি |
এই ১৪ শাক হলো –
১| ওল ২| কেঁউ ৩| বেতো ৪| সর্ষে ৫| কালকাসুন্দে ৬| নিম ৭| জয়ন্তী ৮| শাঞ্চে ৯| হিলঞ্চ ১০| পলতা ১১| শৌলফ ১২| গুলঞ্চ ১৩| ভাঁটপাতা ১৪| শুষণীশাক
পঞ্জিকা মতে‚ এগুলোই কিন্তু সেই চোদ্দ শাক‚ যেগুলো বিধিমতো খেতে হয় |
আয়ুর্বেদ এবং কবিরাজি শাস্ত্রে এইসব শাকের গুণ অসীম | আসল কথা এই ১৪ শাক খেলে এই শীতের শুরুতে মানুষের শরীরে শীতজাত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।