সেভ জলঙ্গী – এক অভিনব উদ্যোগ
নিউজ ডেস্ক::মানুষ সভ্যতার নামে পরিবেশের ক্ষতি করেছে অনেক।আবার সেই মানুষই আপ্রাণ চেষ্টা করছে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করতে।
সেই কার্যক্রমের একটি নতুন উদ্যোগ জলঙ্গী নদী বাঁচাও।
কায়াক অভিযানের মাধ্যমেই নদীর স্বাস্থ্য সমীক্ষা ও নদী সম্পর্কে একটি সামগ্রিক রিপোর্ট তৈরি করা।
নদীয়া জেলার জলঙ্গী নদী দূষণ নিয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন। জলঙ্গী নদী লাগাতার দূষণের ফলে মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে নদীর ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা মানুষজনের জীবিকার উপর ব্যাপক হারে প্রভাব পড়ছে। সেই কারণেই জলঙ্গী নদীর দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা এছাড়াও জলঙ্গী নদীর পর্যবেক্ষণ ও নদীর দুই পাড়ের মানুষকে সচেতন করতে কায়াক নিয়ে নদীপথেই যাত্রা সেভ জলঙ্গি এবং হাওড়ার জগাছা যুব সংঘের উদ্যোগে। জানা যায় এই কায়াক অভিযানের পর নদীর পর্যবেক্ষণের সমস্ত রিপোর্ট প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দেওয়া হবে জলঙ্গির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য।
নদীয়ার বেশ কিছু জায়গা যেমন তেহট্ট পলাশীপাড়া কৃষ্ণনগর জলঙ্গি নদীর উপর নির্ভর করেই রয়েছে। একাধিক কৃষক এবং মৎস্যজীবীরা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে জলঙ্গী নদীর ওপর ভরসা করেই। তবে বিগত বেশ কয়েক বছরে লাগাতার দূষণের ফলে জলঙ্গী নদীর জল অত্যাধিক হারে দূষিত হয়েছে। যার ফলে এর প্রভাব পড়ছে মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে কৃষকদের ওপরেও।
সেই কারণেই সেভ জলঙ্গী ও হাওড়ার জগাছা যুব সংঘের উদ্যোগে এই কায়াক অভিযানের মধ্যে দিয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। সেভ জলঙ্গীর অন্যতম সদস্য শঙ্খশুভ চক্রবর্তী জানান, “গত কুড়ি তারিখ পলাশীপাড়া থেকে নদীপথে কায়াক নিয়ে এই অভিযান শুরু হয়। চার দিন ধরে নদীপথে এই অভিযান চলে। চারদিন পর নদিয়ার সড়কগঞ্জে এসে এই অভিযান সম্পূর্ণ করা হয়”। স্বাভাবিকভাবেই বলা যেতে পারে এই অভিযানের ফলে কিছুটা হলেও সাফল্য আসবে জলঙ্গী নদীর দূষণ রোধে।
কায়ক অভিযানের সময় দুপাশের মানুষ বেশ ভিড় জমায়।