বালুরঘাটে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার
নিউজ ডেস্ক::উৎসবের মরশুমে অশ্লীল নাচ ও জুয়ার আসরে পিটিয়ে খুন করে রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া হল মৃতদেহ । শুক্রবার সকালে রাজ্য সড়কের ধারে ওই কিশোরের রক্তাক্ত অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হতেই উত্তেজনা দেখা দেয় । অভিযুক্ত জুয়াড়িদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা । অভিযোগ অশ্লীল নাচের আসরে নর্তকীদের কাছাকাছি যেতে চাওয়া নিয়েই গোলমাল শুরু হয় । এরপর উনিশ বছরের ওই কিশোরকে বেদম প্রহার করে জুয়াড়িরা । পিটিয়ে খুন করার পর তার দেহ টেনে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া হয় জাতীয় সড়কের ধারে। বৃহস্পতিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট থানার গুটিন এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই যুবকের নাম আলি হাসান মন্ডল ওরফে রানা (১৯)। বাড়ি হিলি থানার লস্করপুর এলাকায়। পেশায় শ্রমিক মৃত রানা ওইদিন রাতে গুটিন এলাকায় গিয়েছিলেন অশ্লীল নাচ ও জুয়াতে অংশগ্রহণ করতে। সেখানেই বচসা এবং তারপরেই তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ঠাকুরপুরা এলাকায় পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় পতিরাম থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে বালুরঘাট থানার গুটিন এলাকায় অশ্লীল নাচ ও জুয়ার আসরের খবর পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল সে। যেখানেই ওই যুবককে দেখা গিয়েছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। রাত বাড়তেই বাড়ছিল অশ্লীল নাচের তীব্রতাও। আর ঠিক তখনই ওই যুবতীদের ধরবার জন্য মঞ্চের সামনে একপ্রকার ঝাপিয়ে পড়েছিল ওই যুবক বলে অভিযোগ। যাকে ঘিরেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। চলে ওই যুবককে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর বলেও অভিযোগ।
আর এরপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় কার্যত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আলী হাসান ওরফে রানা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতেই রাজেন, বিশ্বজিৎ ও পরী নামের তিন কুখ্যাত জুয়াড়ীর নির্দেশে ওই যুবকের দেহ ফেলা হয় ঠাকুরপুরার তাহেরচক এলাকার রাজ্য সড়কের ধারে। এদিন সকালে একপ্রকার নগ্ন অবস্থায় ওই যুবকের দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেতেই এলাকায় পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় পতিরাম থানার পুলিশ। বাসিন্দাদের দাবি, দুদিন ধরেই গুটিন এলাকায় জমে উঠেছিল ওই নাচ ও জুয়ার আসর। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে কিভাবে টানা দুদিন ধরে এমন অশ্লীল নাচ ও জুয়ার আসর জমে উঠেছিল এলাকায়, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। যদিও বালুরঘাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পলাশ সরকার ও অভিজিৎ মাহাতোরা বলেন, যুবকের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখেই বোঝা যাচ্ছে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। পাশ্ববর্তী এলাকায় রাতে গান নাচের আসর বসেছিল। ওখানেই গিয়েছিল সে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করলেই প্রকৃত দোষীরা ধরা পড়বে।
মৃতের এক আত্মীয় দুখা মন্ডল বলেন, খুন না কি সেটা পুলিশ খুজে বের করুক এবং দোষীদের শাস্তি দিক।