নন্দীগ্রামে বিজেপির তৃণমূলে ফেরা হলো না
নিউজ ডেস্ক::তৃণমূল ও বিজেপি সামনা সামনি লড়াই করছে নন্দীগ্রামে।কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করতে চেয়েছি বহু কর্মী।তৃণমূলের কুণাল ঘোষ তাদের স্বাগত জানিয়েছে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হলো না।
রবিবার হলদিয়ায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন এক ঝাঁক বিজেপি নেতা-কর্মী। কিন্তু তৃণমূলে যোগদান না করেই ফিরে যেতে হল তাঁদের। বিজেপিতে মোহভঙ্গ হওয়ার পর শুভেন্দু-গড়ের দাদার অনুগামীরা ফিরতে চেয়েছিলেন তৃণমূলে। কিন্তু বিজেপির সেই নীচুতলার নেতা, কর্মী ও সর্মথকদের ফিরতে হল তৃণমূলে যোগ না দিয়েই।
সভামঞ্চে গিয়ে দেখাযায় এক বিশৃঙ্খল অবস্থা।বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে ভিড় জমিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর গড়ের ‘দাদার অনুগামী’রা। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের হাত ধরে তাঁদের যোগদানের কথা ছিল রাজ্যের শাসকদলে। কিন্তু বিধি বাম। বেঁকে বসলেন তৃণমূলেরই একাংশ নেতা-কর্মীরা। তাঁদের বিক্ষোভে শেষমেশ বানচাল করে দিতে হল যোগদান সভা। ফের একবরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার পথে বিঘ্ন সৃষ্টি হল শুভেন্দু-গড়ে।
এদিন তৃণমূলের সভামঞ্চ থেকে বিজেপি থেকে তৃণমুলে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁদের নাম ডাকা হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মঞ্চের সামনে থাকা তৃণমূলকর্মীরা।
তাঁরা আপত্তি জানান বিগত নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করা ওইসব নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে অন্তর্ভুক্তিতে। তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব, এমনকী স্বয়ং কুণাল ঘোষও তাঁদের বোঝাতে পারেননি।
তৃণমূলে না ফিরতে পেরে এবার ওই নেতা কর্মীরা কোথায় যায় তা দেখার।কারণ জামা পরিবর্তনের মতো যারা দল পরিবর্তন করে তারা কোনো আদর্শ নিয়ে দল করে না।যখন যেখানে সুবিধা পাবে,তখন তারা সেখানেই যাবে।এবার ওরা না ঘটের না ঘাটের।সময় বলবে ওরা কি করবে।