পশ্চিমবঙ্গ উগ্রপন্থীদের বারুদের স্তূপের উপর বসে আছে – দিলীপ ঘোষ
নিউজ ডেস্ক::সোমবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের শেষে বিজেপি সংসদ দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের সাথে দীর্ঘ আলাপচারিতায় বলেন,
মথুরাপুর এমন জঙ্গি সন্ধান পাওয়া গেছে সে দিনের পর দিন অনেকের ব্রেন ওয়াশ করেছে। পশ্চিমবাংলায় উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, হাওড়া ,মালদা উত্তরবঙ্গের আরো দুই একটা জেলা , নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এগুলো হয়ে গেছে জঙ্গিদের ঘাঁটি। পুলিশ জানে পুলিশ হাত দেবে না। কারণ এর সাথে রাজনীতি যুক্ত আছে। সরকার জানে সরকারের ভোটের ব্যাপার আছে সেই জন্য সারা ভারত বর্ষ থেকে সমস্ত জঙ্গি মডিউল চলে এসেছে এখানে। একাধিক জঙ্গি ধরা পড়েছে। বিভিন্ন মাদ্রাসা আইনি বেআইনি মাদ্রাসায় টিচার হিসেবে থাকছে মসজিদে মৌলবী রূপে দিয়ে এই ধরনের কাজ করছে। ডায়মন্ড হারবার থেকে জঙ্গি গিয়ে অন্য রাজ্যে অপারেশন করছে। বাংলাদেশ থেকে ঢুকে এখানে থাকছে। এখান থেকে জাল বিস্তার করছে। এখানে রিক্রুটমেন্ট হচ্ছে – এটা ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে আগেও এসেছে। সাধারণ চোখে দেখা যায় শিমুলিয়া মাদ্রাসা বা খাগড়াগড় যা হয়েছে এর পেছনে একাধিক ব্লাস্ট হচ্ছে। বড় বড় শক্তিশালী ব্লাস্ট হচ্ছে। তার পেছনের রহস্য কি কোথাও উদঘাটন হয় না। সেই জন্য পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তুপের উপর বসে আছে। আর এই অস্ত্রশস্ত্রগুলোকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে ধীরে ধীরে, সেই জন্য রাজনীতি ও রক্ত রঞ্জিত হয়ে যাচ্ছে।
CAA,NRC করার চেষ্টা বিগত তিন বছর ধরে চলছে। কারা ভারতের নাগরিক কারা ভারতের নাগরিক নয় এখানে রাজ্য সরকার বাধা দিচ্ছে।
সেই জন্য পশ্চিমবাংলায় CAAআগে দরকার আছে। রাজ্য সরকার প্রথম বিরোধিতা করছে এই যে যারা ভোট করায় বিদেশি এজেন্ট উগ্রপন্থী যারা তৃণমূলকে শক্তিশালী করছে, তারা প্রথমে আউট হয়ে যাবে। দেশের স্বার্থে বাংলার স্বার্থে এখানে CAA প্রথম দরকার আছে।
গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নিচে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে বসতে নিষেধ করা হয়েছে।.
চাকরিও দেয় না বসতেও দেয় না। তারা যেখানে বসে আছে ঘেরা জায়গার মধ্যে বাইরে কোন ডিস্টার্ব করে না। মাসের পর মাস আছে সরকারের। এটা চোখে বালির মতো সুযোগ পাচ্ছে না উঠিয়ে দেওয়ার। তাই একটা অজুহাত খুঁজেছে গুরু নানক জয়ন্তীতে তো কি হয়েছে? রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা যায়। ওরা পার্কের মধ্যে বসে আছে। কোন সংঘর্ষ নেই সরকারের অজুহাত চাই তুলে দেওয়ার জন্য তাই এইসব মেল করা হচ্ছে।
সৌগত রায় বলেছেন দলের শুদ্ধিকরণ হবে। ঝাড়াই বাছাই করে পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাবেন সবাই টিকিট পাবে না।দিলীপ ঘোষ বলেন,আগে ওনাকে আর মদন মিত্রকে তো বাদ দিতে হবে। ওদেরই লোকে দেখেছে টাকা নিতে, কেউ তোয়ালে মুড়ে কেউ প্যাকেটের মাধ্যমে টাকা নিয়েছেন ।শুদ্ধি কোথা থেকে শুরু হবে । কাচের ঘরে বসে থেকে অন্যকে ঢিল মেরে লাভ নেই ।পুরো পার্টিটাই পচে গেছে। দুর্নীতিতে উপর থেকে নিচে ওনাদের দেখে বাকিরা অনুপ্রেরণা পাচ্ছে যে টাকার বান্ডিল কি করে নিতে হয়। ওনারা চেয়ে নিয়েছেন বা কেউ এসে দিয়ে গেছেন বড় নেতা বলে।বাকিরা ছিনিয়ে নিচ্ছেন। এই যা পার্থক্য। ঠগ বাঁচতে গা উজার হয়ে যাবে।
বীরভূম গিয়ে ববি হাকিম পঞ্চায়েতের সাথে সাথে পুরো ভোট মোটামুটি বলেই দিয়েছেন। হাওড়ায় পুরভোটের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। উনি খুব আনন্দ পেয়েছেন বীরভূম কেষ্ট চলে গেল তাও পাল্টায়নি বোম বন্দুক দিয়ে ওনাকে স্বাগত করা হয়েছে। উনি বোধহয় বোমের আওয়াজ শুনছিলেন। তারপরে নাকি বাঘ ফিরে আসবে। আমি জানিনা বাঘ কবে ফিরে আসবে। শিয়াল যারা আছে তারাই যথেষ্ট বীরভূমকে রক্তাক্ত করার জন্য। উনি দেখতে গেছিলেন পঞ্চায়েত হলে আমরা জিততে পারবো কিনা। জেতানোর লোক আছে কিনা। যেটা দিদি বলেছিলেন অনেক অনুব্রত তৈরি করে ফেলেছি। তার নমুনা উনি বীরভূমে দেখে এসেছেন।
সৌগত রায় বলছেন যেভাবে বোম উদ্ধার হয়েছে এটা কোন উদ্বেগের বিষয় নয়। আগে যেভাবে বোম তৈরি হতো এখনও সেভাবে বোম তৈরি হচ্ছে।
উনি বোম তৈরি ফর্মুলা দিয়েছেন লেখাপড়া জানা লোক তো। সেই জন্য মিডিয়াতে বলে দিয়েছেন। ফর্মুলা যারা এখনো বানাতে পারছেন না তারা যেন ওনার ফর্মুলা ধরে বানায়। নিজে ডাকাতের সর্দার অন্যকে কি জ্ঞান দেন।
ফের বিস্ফোরক উদয়ন গুহ বলেছেন, বিছুটি পাতা লাগিয়ে দেবে এমন জায়গায় না চুলকাতে পারবে না কাউকে দেখাতে পারবে।সেই প্রসঙ্গে বলেন,কেষ্ট মন্ডল হতে চাচ্ছেন। কেষ্ট মন্ডল এর বহু ডায়লগ উনি শুনিয়েছেন। ব্রেকিং নিউজ করে তিনি এখন কোথায় আছেন একবার কেষ্ট কে ফোন করে জেনে নিন।
বালুরঘাটের ঘটনায় অভিযুক্তার বাড়ি আগুন জালানো হলো, পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ কিডন্যাপিং এর ঘটনা বাড়ছে।এক সময় বিহারে আপনারা জানতেন ২০,২৫ বছর আগে এই পরিস্থিতি ছিল। যাকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হতো। মুক্তিপণ চাওয়া হতো। পশ্চিমবাংলায় ঠিক তাই হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে এক অভাব দ্বিতীয় স্বভাব। সরকারি টাকা লুট করতে করতে এমন স্বভাব হয়ে গেছে, নিয়মিত টাকা চাই প্রচুর গুন্ডা বদমাশ পুষে রেখেছে। তাদের খাওয়াতে হবে গাড়ি দিতে হবে। এত টাকা কোথায় আসবে তাই এই লুটপাট হাইজ্যাক কাট মানি মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে।।
দেগঙ্গায় পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রধানের বাড়িতে আগের দিন শাসনে বোমা বন্দুক পাওয়া গেছে। নেতার বাড়িতে প্রতিনিয়ত এর আগে আপনারা জানতেন বীরভূমে পার্টি অফিসের ঝুড়িঝুড়ি বোমা নেতার বাড়ির বাথরুমে বস্তা ভর্তি বোমা। এই আমরা দেখেছি বোমার ফ্যাক্টরি চলছে সব জায়গায় তার প্রোপাইটার হচ্ছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচন কিরকম হবে? এর থেকে আন্দাজ করা যায়।
হলদিয়া বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে কুণাল ঘোষের সামনেই সভায় বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপি ছেড়ে কেউ যাবে না। এগুলো নাটক করা হচ্ছে। উল্টে স্লোগান শুনতে হচ্ছে পাগল হয়ে গেছে নাকি। হতে পারে পার্টির মধ্যে খুব বিক্ষোভ থাকে মতান্তর থাকে। সেটা মেটাবো এত বড় পার্টি সারা দেশে চলছে। কোথাও গন্ডগোল নেই এখানে বিশেষ পরিস্থিতিতে অনেক লোককে নিয়েছি আমরা। তাদেরকে আমার সাথে মতে নিয়ে চলতে একটু সময় লাগছে কেউ বিজেপি ছেড়ে যাবে না।