ছেলের হাতে বাবার মৃত্যু

0 0
Read Time:3 Minute, 30 Second

নিউজ ডেস্ক::কাম, ক্রোধ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা ভারতীয় সভ্যতায় বার বার করে বলা হয়েছে।কিন্তু সেই শিক্ষা না থাকার জন্য ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জন্য ঘটে যায় অনেক দুর্ঘটনা।এমনই একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জে।
সূত্রের খবর,পারিবারিক অশান্তির জেরে ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন মা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার গেদে উত্তরপাড়া এলাকায়। জানা যায়, পেশায় দিনমজুর অরবিন্দ বিশ্বাস পারিবারিক বিবাদের জেরে এইদিন বাবা বাসুদেব বিশ্বাস ও মা মিনতি বিশ্বাসকে কুড়াল দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাসুদেব বিশ্বাসকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মা মিনতি বিশ্বাসের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানান্তরিত করা হয় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ, অরন্দের প্রথম পক্ষের স্ত্রী তারই মেজো ভাইয়ের সাথে পালিয়ে গিয়ে আলাদা জায়গায় সংসার পাতেন। এরপর থেকে মেজো ভাইয়ের সাথে সব রকম সম্পর্ক ত্যাগ করতে বাবা-মায়ের কাছে দাবি করেন অভিযুক্ত অরবিন্দ বিশ্বাস। কিছুদিন মেজো ছেলের সাথে সম্পর্ক না থাকলেও ইদানিংকালে ফের ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বিশ্বাস দম্পতি। মূলত তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইদানিংকালে বাবা-মায়ের সাথে বিবাদের সৃষ্টি হয় ছেলে অরবিন্দের।

ইতিমধ্যেই সে দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন, এবং ছোট একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে অরবিন্দ বিশ্বাসের বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। মূলত এই বিবাদের জেরেই এই দিন বাবা মায়ের সাথে ফের বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অরবিন্দ। সেই সময় ধারালো একটি কুড়াল নিয়ে চড়াও হয় বাবা-মার উপর। এবং ছেলের কুড়ালের আঘাতে গুরুতর আহত হন সস্ত্রীক বাসুদেব বিশ্বাস। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।এই ঘটনার পরে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত অরবিন্দ বিশ্বাস। অভিযোগ পেয়ে সম্পূর্ণ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।
এই নির্মম ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!