ত্রিপুরায় গ্রেফতার ১৪ জন বাংলাদেশি ও চালক সহ ২টি ভারতীয় অটো
নিউজ ডেস্ক::সীমান্তপ্রদেশ ত্রিপুরা।ফলে সবসময় বিএসএফ এর নজরদারিতে থাকে ত্রিপুরা।তার ফলেই সাফল্য আসলো এই বাহিনীর।
সূত্রের খবর,
১৪ জন বাংলাদেশি ও ভারতের ২টি অটো গাড়ি সহ আটক ২ চালক।
গোপন খবরের ভিত্তিতে ১৪ জন বাংলাদেশীকে ও ২ জন ভারতীয় অটো গাড়িসহ চালককে আটক করে ত্রিপুরা কামথানা ১৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ জওয়ানরা ।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সকাল আটটায় ত্রিপুরা অরবিন্দ নগর এলাকায় গোপন খবরের ভিত্তিতে ত্রিপুরা কামথানা ১৫০ নম্বর বিএসএফ ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা দুটি ভারতীয় অটো গাড়ি ও ড্রাইভার সহ ১৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করে।
তার মধ্যে রয়েছে ৯ জন বাংলাদেশী পুরুষ, ২ জন বাংলাদেশী মহিলা, এবং ৩ জন বাংলাদেশী ছোট শিশু। ত্রিপুরা কামথানা ১৫০ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের জওয়ানরা ধৃতদের মধুপুর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।ধৃতদের বাংলাদেশীদের নাম হলো, মহিদুল সানা, জনি কাজী, মোহম্মদ বিল্লাল মিয়া, ইসলাম মিয়া, বুলবুল শিকদার, আবুল কাশেম, রুবেল শিকদার, রুবেল হোসেন, সারেয়ার হোসেন, বাংলাদেশী মহিলা ২ জনের নাম হলো- আদরিকা খাতুন, রিক্তা বেগম, বাংলাদেশী ছোট শিশু তিনজনের নাম হলো- রিপা আক্তার,রিপাদ হালদার, রেশমা। ভারতীয় অটো ড্রাইভার ২ জনের নাম হলো- জাহাঙ্গীর আলম, রমেশ দেবনাথ।
বর্তমানে ত্রিপুরা মধুপুর থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশ এবং ভারতীয় সমস্ত ব্যক্তিত্বরা। অটো চালকদের বাড়ি ত্রিপুরা কামথানা এলাকায়। জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে এপারে থাকা কিছু দালাল চক্র বাংলাদেশ থেকে নাগরিকদের এনে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত করে তুলছেন। এক কথায় বলা চলে, পুলিশ প্রশাসন সে সমস্ত দালাল চক্রগুলির নাম জানা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোনরকম উদ্যোগ গ্রহণ করতেন না যার ফলে প্রতিনিয়ত এই দালাল চক্রের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে নাগরিকরা এবং বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রদেশ বিভিন্ন রকম অসামাজিক কাজ করে রাতারাতি নেমে পড়েন আবার বাংলাদেশে।
সিপাহীজলা ত্রিপুরা জেলা মধুপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকাতে প্রতিনিয়ত আটক হচ্ছে বাংলাদেশী থেকে শুরু করে নাইজেরিয়ান, রোহিঙ্গা, আর এই সমস্ত লোকদের পারাপার করার পেছনে রয়েছে ত্রিপুরা কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রে সীমান্ত এলাকায় অনেক দালাল চক্র। এই দালাল চক্রের প্রতি যদি ত্রিপুরা প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আগামী দিনে ত্রিপুরা কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা দিয়ে রাতারাতি বাংলাদেশ থেকে বহু নাগরিক ভারতে এসে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করে বাংলাদেশে চলে যাবে। আসন্ন ২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই যেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাতে বাংলাদেশীদের ভারতে ওঠার প্রবণতা ততই বেড়ে গেছে এই দালাল চক্রের।
তাই ত্রিপুরা কমলাসাগর বিধানসভা সহ ত্রিপুরার আপামর জনসাধারণ চাইছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা দিয়ে দালাল চক্রের যে লেনদেন রয়েছে সেটা যেন অতি দ্রুত ত্রিপুরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়।