ধর্মকথা -কালী পূজা(৩য় পর্ব)–সিঙ্গুরে ডাকাত কালী মন্দির
নিউজ ডেস্ক::হুগলি জেলার সঙ্গে বিভিন্ন ডাকাত স্থাপিত কালী মন্দিরের সম্পর্ক নিবিড়।এর অন্যতম কারণ সম্ভবত হুগলি ভাগীরথীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত একটি বহু প্রাচীন নগরী।সামন্ত নির্ভর গ্রামে ‘অভাব’ ও ‘জমিদারি শোষণ’ ছিল দরিদ্র মানুষর নিত্য সঙ্গী।তাই ওই জেলায় একাধিক ‘ডাকাত কালী’ নামে প্ৰচলিত পুজো আছে।
কিংবদন্তি অনুযায়ী হুগলির সিঙ্গুর গ্রামে বহু পুরোনো একটি কালী কালী মন্দির আছে।সেই মন্দিরটি কে প্রতিষ্ঠা করেন তা নিয়ে ঐতিহাসিকরা একাধিক মত দেন।তবে ঘুরে ফিরে তিন জনের নাম পাওয়া যায় ওই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে।ডাকাত সনাতন বাগদি,ডাকাত গগন সরদার ও রঘু ডাকাত।
আটচালা মন্দিরের দেওয়ালে বিভিন্ন হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত।বিষ্ণুর দশ অবতারের মূর্তি খোদিত আছে।মন্দিরটিতে অপূর্ব পড়া মাটির কাজ আছে,যা প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো। এলাকার মানুষের কাছে ওই মন্দির সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির নামেই পরিচিত।
কিংবদন্তী অনুযায়ী তখন ওই মন্দিরটি ছিল গভীর জঙ্গলের মধ্যে।একবার মহাপুরুষ সাধক রমকৃষ্ণকে দেখবার জন্য মা সারদা ওই পথ ধরেই যাচ্ছিলেন।তখন দুই ডাকাত মা সারদাকে আটক করে।
দেবী ওদের দেখা দিয়ে মা সারদাকে ভক্তিভরে মুক্ত করার নির্দেশে দেন।ও স্বপ্নে বলেন,ওই স্থানে দেবী কালীকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।ওই ঘটনার পরেই ওই দুই ডাকাত(সম্ভবত রঘু ডাকাত ও গগন ডাকাত) ওই মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।শুরু হয় দেবী কালীর আরাধনা।কার্তিক মাসের অমাবস্যায় খুব ধুমধাম করে দেবীর উপাসনা করা হয়।এখনো সেই রীতি প্ৰচলিত আছে।