ভক্তের ক্ষমাপ্রার্থনা দেবী আগমেশ্বরীর কাছে।
নিউজ ডেস্ক::গত বছর কালী পুজোতে শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা দেবী আগমেশ্বরীর পুজো নিয়ে একাধিক বাধার সৃষ্টি হয়।
শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী মাতা আগমেশ্বরীর ক্ষমাপ্রার্থী পুজোর আরাধনা। উল্লেখ্য কার্তীকি অমাবস্যায় কালী পুজোয় শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী আগমেশ্বরী মাতার পুজো চলাকালীন পুজো কমিটির প্রাক্তন সভাপতি মন্দির প্রাঙ্গণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শান্তিপুর হাসপাতালে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। এরপরেই তার মৃতদেহ আগমেশ্বরী মাতার মন্দির প্রাঙ্গনে আনা হয়েছিল। কারণ প্রাক্তন সভাপতি অলোক গোস্বামী তিনি দীর্ঘ বছর ধরে পূজোর সমস্ত দায়িত্ব একা হাতে সামলেছিলেন।
তাই শেষবারের জন্য মন্দির প্রাঙ্গণে আনা হয়েছিল তাকে। অন্যদিকে মাতা আগমেশ্বরীর নিরঞ্জন যাত্রার শেষে বিসর্জন কর্মসূচির সময় বিঘ্ন ঘটে – যা আগে কখনো দেখা যায়নি। তাই মাতা আগমেশ্বরীর উপদেষ্টা মন্ডলী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দেবীর পুনরায় ক্ষমাপ্রার্থী আরাধনা করা হবে। আজ অমাবস্যা তিথিতে চিরাচরিত নিয়ম মেনেই ক্ষমাপ্রার্থী আরাধনা করা হয় দেবীর। আজও শান্তিপুর তথা বাইরে থেকেও প্রচুর দর্শনার্থীরা আসেন দেবী দর্শনের জন্য। উপবাস থেকে মায়ের চরণে পুজো দেন। সকাল ৯ টা থেকে দেবীর আরাধনা শুরু হয়। এছাড়াও আগত ভক্তবৃন্দদের জন্য পরিচালন কমিটি ভোগের আয়োজন করে।
জানা যায় আজ বিকেল তিনটের পর পরই দেবীকে নিরঞ্জন যাত্রার পথে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর দেবীর বিসর্জন প্রক্রিয়া শেষ করবেন উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যরা। তবে এর আগেও বেশ কয়েকবার কোনো কারণবশত বিঘ্ন ঘটায় পরবর্তীতে দেবীর আরাধনা করা হয়েছিল।
সমস্ত পূজোপর্ব শান্তিতে সম্পূর্ণ হয়।