‘পর্যটনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান’ এই দাবি নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে টাকিবাসী
নিউজ ডেস্ক::মঙ্গলবার আসবেন মুখ্যমন্ত্রী, তার আগেই সেজে উঠছে শহর টাকি, তুঙ্গে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এক অষন্য নাম রয়েছে ইচ্ছামতী নদীর পাড়ে অবস্থিত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী টাকি শহরের। বসিরহাটের এই টাকি শহর বহু প্রাচীন। প্রচুর ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই শহরের সঙ্গে। আর সেখানেই সারা বছর বিশেষ করে দুর্গাপূজার পর থেকে শীত ও বসন্তকালে রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ভিড় জমান। যা টাকির বহু মানুষের অর্থ উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। একদিকে টাকিতে যেমন রয়েছে প্রচুর ছোট বড় হোটেল। অন্যদিকে একাধিক রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে টোটো ও নৌকা চালকরা। তাদের জীবিকার মূল রসদই হলো টাকির এই পর্যটন শিল্প। আর এই টাকি শহরেই মঙ্গলবার পা রাখতে চলেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই খবর জানতে পেরেই একপ্রকার আনন্দে মেতে উঠেছেন টাকির স্থানীয় বাসিন্দারা। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে টাকি পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান ফারুক গাজীর নেতৃত্বে একদিকে চলছে ইছামতি পাড়ে সৌন্দার্যয়নের কাজ। ঢেলে সাজানো হচ্ছে বিভিন্ন টুরিস্ট স্পট গুলি। পাশাপাশি নিরাপত্তার ব্যাপারেও খামতি রাখা হচ্ছে না প্রশাসনের পক্ষ থেকে। টাকির এরিয়ান ক্লাবের মাঠ যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামবে সেখানেও চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। অন্যদিকে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে ইছামতি নদীতে চলছে লঞ্চ নিয়ে পুলিশের কড়া টহল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সুন্দরবন থেকে টাকিতে নেমে জনস্বাস্থ্য দপ্তরের বাংলোয় মুখ্যমন্ত্রী রাত্রি বাস করবেন। পাশাপাশি সেখানে একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকও সারবেন।
ইতিমধ্যে বসিরহাটের পূর্ত, সেচ, জনস্বাস্থ্য ও পুলিশ প্রশাসন সহ একাধিক দপ্তরকে নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার। এদিন সকাল থেকেই টাকির এরিয়ান ক্লাব মাঠে হেলিকপ্টার ট্রায়ালের জন্য ওঠানামা করতে দেখা যায়। যা মুখ্যমন্ত্রী আগমনের বার্তাকে আরো সুদৃঢ় করছে। টাকিবাসীরা মুখ্যমন্ত্রীর এই আগমনে খুশি হলেও তারা চাইছেন টাকির পর্যটনকে যেন মুখ্যমন্ত্রী এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেন। তাহলে আরো মানুষের অর্থ উপার্জন হবে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক পাল্টে যাবে।