স্ত্রীর কোল থেকে, বাচ্চা ছিনিয়ে নিয়ে শশুর শাশুড়িকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে
নিউজ ডেস্ক::-শান্তিপুর ঘোড়ালিয়া ঘোষপাড়ার বাসিন্দা শ্রীধর অধিকারী পুত্র সন্তান মারা যাওয়ার পর একমাত্র কন্যা লাবনী দাস অধিকারী। লাবনীর সাথে শান্তিপুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের পাবনা কলোনী বাবলা রোডের বাসিন্দা শচীন দাসের পুত্র সুমন দাসের সাথে প্রথমে কলেজে পড়াশোনার সুবাদে পরিচয় পরবর্তীতে পরিবারের সম্মতিক্রমে সামাজিক এবং রেজিস্ট্রি করে বিবাহ হয়।
লাবনী দেবীর অভিযোগ, পুত্র সন্তান জন্মের পর থেকে, পাশের পাড়ার পূজা রায় নামে এক গৃহবধুর সাথে তার স্বামী সুমনের পরকীয়া সম্পর্ক । যাতে ওই বাড়িতে ওই গৃহবধূকে স্থান দেওয়া যায় সেই কারণে, লাবনীদেবীর উপরে মাঝেমধ্যেই অত্যাচার চলত। যেহেতু তার উপার্জনে শ্বশুর-শাশুড়ির চলে সেই কারণে তারা কোন প্রতিবাদ করে না বরং, বৌমাকেই মেনে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।এ বিষয়ে অতীতেও দুবার শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা হলেও, পুলিশি মধ্যস্থতায় মিটে যায়।
তবে এবার বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে সুমন বাড়ি ফেরেনা, তার মা-বাবাকে ডাকলে, সেই খবর পেয়ে সুমন প্রথমে তার শাশুড়ি কে পরবর্তীতে শ্বশুরকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। স্ত্রীর কোল থেকে একমাত্রবাচ্চা, ছিনিয়ে নিয়ে তাকে আটকে রাখে, অন্যদিকে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এমনই জানিয়েছেন লাবনী দেবীর বাবা শ্রীধর অধিকারী। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে ওই পরিবার শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন। তাদের দাবি অবিলম্বে বাচ্চা ফিরিয়ে দিক এবং সকলকে এভাবে মারধরের উপযুক্ত শাস্তি পাক সে।
আগে কাপড়ের ব্যবসা থাকলেও এখন বয়স জনিত কারণ এবং ব্লাড সুগারের কারণে অসুস্থ,অন্য কোন কেউ নেই উপার্জনের। মেয়ের এ ধরনের ঘটনায় দুশ্চিন্তায় করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত সুমন দাসের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি, একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে শান্তিপুর থানা থেকে এ বিষয়ে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলেই জানা গেছে থানা সূত্রে।