পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের প্রেস্টিজ ফাইট
নিউজ ডেস্ক::শনিবার নন্দীগ্রাম ও ডায়মন্ড হারবারে দুটো বড়ো সভা তৃণমূল ও বিজেপির।পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে অভিষেকের সভা আর তার পাল্টা সভা করবেন বিরোধী দলনেতা অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারে।
বেশ উত্তেজক পরিস্থিতি।পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সাংসদ তৃণমূলের হলেও তারা অধিকারী পরিবারের।কিন্তু তাদের সঙ্গে দলের এখন কয়েক যোজন দূরত্ব।ফলে ওই দুই আসন কার? – তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।সাংগঠনিকভাবে তৃণমূলের এবার লক্ষ পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝড়গ্রামের ৫ টি লোকসভা আসনেই জেতা।যদিও ওই ৫ টি আসনের মধ্যে এখন ২টি বিজেপির দখলে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের দুই সাংসদ সদস্যই তৃণমূল কংগ্রেসের। দু’জনেই অধিকারী পরিবারের সদস্য। যে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব দীর্ঘতর হয়েছে জোড়া ফুল শিবিরের। বিরোধী দলনেতার জেলার এই দুই আসন নিয়ে চর্চা আছে বিজেপির অন্দরেও৷ওই দুই লোকসভা আসনের বুথ স্তরীয় সংগঠনে একাধিক বদল এসেছে। যদিও নন্দীগ্রামের বুথ স্তরীয় বদল নিয়ে নানা অনুযোগ উঠে এসেছে তৃণমূলের অন্দরে৷ কাঁথিতেও বুথ স্তরীয় ক্ষেত্রে একাধিক বদল এসেছে। প্রকাশ্যে না বললেও দলের অন্দরে এই নিয়ে চর্চা হয়েছে। গত ৮ অগাস্ট নেতাজি ইন্ডোরের বিশেষ অধিবেশন থেকে নানা বুথ স্তরীয় বিষয় উঠে আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বাকিদের অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সীকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
নাগরিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলের প্রেস্টিজ ফাইট। তাই রাজনৈতিক ভাবে এখন থেকেই জমি শক্ত করতে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে পাশের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। সেখানে লোকসভা ভোটের ফলের হিসাবে ম্যাচ ১-১। মেদিনীপুর আসন বিজেপির দিলীপ ঘোষের হলেও ঘাটাল আসন তৃণমূলের হয়ে ধরে রেখেছেন সাংসদ দেব। জঙ্গলমহলের জেলা হিসাবে পরিচিত মেদিনীপুর লোকসভা আসনের জন্যেও এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় জোড়া ফুল।
এখন দেখার শনিবারের সভা থেকে দুই নেতা কোন বার্তা দেন।