বিধানসভাতে মমতা-সাক্ষাৎ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

0 0
Read Time:4 Minute, 7 Second

নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সাক্ষাৎ ঘিরে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী! শনিবার অভিষেকের গড় ডায়মন্ডহারবারে সভা করতে চান তিনি। আর সেখান থেকেই নরমে-গরমে কার্যত ওই লোকসভার কেন্দ্রের সাংসদকে বার্তা দেন বিরোধী দলনেতা। একই সঙ্গে বিধানসভাতে তাঁকে ডেকে সেটিং করার চেষ্টা হয়েছে বলেও চাঞ্চল্যকর মন্তব্য তাঁর।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগেই বিরোধী দলনেতাকে বিধানসভাতে নিজের কক্ষে ডাকেন তৃণমূল নেত্রী। আর তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়। যদিও বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই নাকি তাঁকে তলব করা হয়েছিল। যদিও এই সাক্ষাৎ ঘিরেই বিজেপির অন্দরেই একটা জল্পনা তৈরি হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে আজ বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা।

তাঁর মন্তব্য, ‘বিধানসভায় আমাকে ধরতে গিয়েছিলেন না? ভেবেছিলেন একাই চলে যাব। এমনকি সমঝোতা করে নেওয়ার কথাও উনি ভেবেছিলেন বলে চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর। কিন্ত্য সেট করার পার্টিতে নেই বলে ডায়মন্ডহারবারের সভা থেকে নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমোকে বার্তা তাঁর। শুধু তাই নয়, সেদিন দেখা করতে একা নয়, বরমগ তিনজন বিধায়ককে এজন্যেই নিয়ে যাওয়া বলে দাবি নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

না থেমেই তাঁর বার্তা, আপনাকে না তাড়ানো পর্যন্ত শান্তি নেই। যদিও পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘সেদিন আমাকে কার্যত হাত ধরে সব মেটাতে চেয়েছিলেন, আমি সে সুযোগ দিইনি।

বলে রাখা প্রয়োজন, এহেন সাক্ষাতের পরের দিনেই শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্তব্য করেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করা ছাড়া শান্তি নেই। আর এরপরেই অভিষেকের গড় থেকে এবার সেটিং তত্ত্ব নিয়ে বিস্ফোরক দাবি বিধায়কের। অন্যদিকে এদিন সভা থেকেও পুলিশকেও একহাত নেন তিনি।

বলেন, পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আর এরপরেই রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও আক্রমণ বিজেপি নেতার। বলেন, হাইকোর্টে অবমাননার মামলা করা হবে। কোনও জায়গাতেই ছাড়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর। এমনকি কনটেম্পট পিটিশন ফাইল করে যত গাড়ির কাচ ভাঙা হয়েছে, সরকারের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হবে বলেও মন্তব্য শোনা যায় তাঁর মুখে। এমনকি যত জন আহত হয়েছেন, সেই সমস্ত ক্ষতিপূরণও আদায় করা হবে বলে বার্তা বিরোধী দলনেতার।

বলে রাখা প্রয়োজন, শুভেন্দুর সভা ঘিরে শুক্রবার রাত থেকেই উত্তেজনা ডায়মন্ডহারবারে। রাতেই তাঁর সভামঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এমনকি আজ শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গাতে তৃণমূল পথ অবরোধ করে বলেও অভিযোগ। এমনকি হটুগঞ্জ এবং কুলপি সহ বিভিন্ন এলাকাতে বিজেপিতে নেতা-কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ সামনে আসে। যা নিয়ে একেবারে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!