শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে কেন একথা বললেন অভিষেক
নিউজ ডেস্ক::২০২১-এ নন্দীগ্রামের প্রেস্টিজ ফাইটে শেষ ল্যাপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একটা সময় মমতার ডানহাত ছিলেন। তাঁর কাছে মমতার হার নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। কারণ প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বিজয়িনী ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর ফের ঘোষণা, এবার জয়ী শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৯৬৭ ভোটে হারিয়ে বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি বিরোধী দলনেতাও নিযুক্ত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে সভা করে নন্দীগ্রামে ফের ভোট হবে বলে হুঙ্কার ছেড়ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং শুভেন্দু অধিকারী দেশের প্রথম বিধায়ক যিনি ভোটে জিতেছেন কি না তা আদালতে বিচারাধীন।
তারপর অভিষেক বলেন, আমি বলে যাচ্ছি নন্দীগ্রামে ফের ভোট হবে। আমার এই কথা লিখে রাখুন। আর নন্দীগ্রামে ভোট হলে এবার শুভেন্দু অধিকারী বুঝবেন কী হয়! অভিষেকের কথায়, নন্দীগ্রামে বিতর্কিত জয় তুলে নেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার বলতেন। কিন্তু তিনি নিজে বিধায়ক হয়েছেন কীভাবে তা বিচার করে দেখেননি।
অভিষেক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তো বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর হঠাৎ লোডশেডিং, কী হল সেখানে, যে হঠাৎ বদলে গেল ফলাফল? প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের কথায়, লোডশেডিংয়ে জিতে বিধায়ক হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আমরা নন্দীগ্রামের নির্বাচন নিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আশা করছি শীঘ্রই সুবিচার পাবো। ফের ফ্রেশ ভোট হবে নন্দীগ্রামে। তখন দেখব শুভেন্দু অধিকারীর কত ক্ষমতা।
অভিষেক মনে করেন, নন্দীগ্রামের মানুষ আর ভুল করবেন না। এবার যোগ্য জবাব দেবে শুভেন্দু অধিকারীকে হারিয়ে। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম বিজেপিতে ভাঙন ধরেছে। সম্প্রতি জয়দেব দাস-সহ ৩৫ জন বিজেপি নেতা-কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বটকৃষ্ণ দাস বিজেপি ছেড়েও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেননি। অভিযোগ, বিজেপির তরফে তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি যোগ দিতে পারেননি। তবে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তিনি তৃণমূলের হয়েই কাজ করবেন বলে দাবি।
তৃণমূল আসন্ন পঞ্চায়েতকে পাখির চোখ করেছে। পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রামে জিততে চাইছে তৃণমূল। সে জন্য তাঁরা জনসংযোগ শুরু করেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ডিসেম্বরেই তৃণমূলের দরজা খুলতে চাইছেন। তিনি বলেছিলেন তৃণমূল দরজা খুললেই বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। এতদিন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের চাপেই তিনি দরজা বন্ধ করে রেখেছিলেন। এখন তৃণমূলের জনতার কাছে অভিষেক অনুমতি নিচ্ছেন, তিনি একবার খুলতে চান দরজা, একবার কি খুলবেন? সম্মত হয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।