পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ২০২৪-এ পাখির চোখ
নিউজ ডেস্ক::সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু বিজেপি পঞ্চায়েত ভোটকে বেমালুম ভুলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেছে। বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি শুরু করে দিয়েছে লোকসভা প্রবাস যোজনা। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাঁথি সফর শুরুর মুখে বিজেপির এই অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই।
বিজেপি ২০২৪-এর লক্ষ্যে ২০১৯-এ হারা কেন্দ্রগুলির দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দিয়ে তাই নতুন কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। তবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে পড়েছে। বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন, যেহেতু সামনে পঞ্চায়েত ভোট, সেখানে পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি না নিয়ে কেন লোকসভাভিত্তিক জনসংযোগ বাড়ানোর কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। দলের অন্দরে এই প্রশ্ন উঠে পড়ায় অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে মরিয়া কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তবে কি পঞ্চায়েত ভোটে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে না বিজেপি? তাদের লক্ষ্য কি শুধুই লোকসভা আর বিধানসভা? লোকসভা প্রবাস যোজনা কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাঁথি সফর ঘিরে এ ধরনের একাধিক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ২ থেকে বাড়িয়ে ১৮টি কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। রাজ্যে ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসনে জয় পাওয়ায় বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের প্রতি কেন্দ্রীয় বিজেপি আশ্বস্ত হয়েছিল তখন। তবে সেইসঙ্গে প্রশ্নও তোলা হয়েছিল বাকি ২৪টি কেন্দ্রে কেন খারাপ ফলাফল? এবার ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি স্থির করেছে হারা কেন্দ্রগুলিতে বিশেষ জোর দেওয়ার।
সেইমতো ২০২৪-এর প্রাক্কালে জয়যুক্ত হওয়া লোক লোকসভা কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি হেরে যাওয়া লোকসভা কেন্দ্রগুলিতেও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব বিশেষ নজর দিতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বঙ্গ সফরে এসেছেন। তিনি বেছে নেন শুভেন্দু অধিকারীর হোমটাউন কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রকে। বিজেপির লোকসভা প্রবাস যোজনা কর্মসূচি একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা রাজ্যের পিছিয়ে থাকা লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে যাবেন।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রীরা বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দলের একাধিক নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, জনসংযোগ বাড়াতে রাত্রিবাস করবেন। বিজেপি হেরে যাওয়া কেন্দ্রগুলিতে মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন কেন্দ্রের মন্ত্রীরা। সেইমতো দুদিনের পূর্ব মেদিনীপুর সফরে আসেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আর তার সফর শুরুর পরই বিক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে।
বিজেপির জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে খাঁড়া করে দেওয়া হয়েছে অবধারিত সেই প্রশ্নটা। পঞ্চায়েত ভোট সামনে, তার আগে কেন লোকসভার প্রচার। লোকসভা কেন্দ্রিক কেন কর্মসূচি পালন হবে। কেন ব্লক ধরে ধরে প্রচার হবে না। কেনই বা পঞ্চায়েত স্তরকে বা বুথস্তরকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না। পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে বিজেপির বুথ কমিটি গড়ার দিকে সবার আগে নজর দেওয়া দরকার ছিল বলে দাবি নেতৃত্বের।