“প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা বাতিল করা হোক । -” লকেট চট্টোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্ক::‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ যা এই রাজ্যে শুধু ‘আবাস যোজনা’ নামে পরিচয় দিচ্ছেন শাসকদল – সেই আবাস যোজনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধীরা অজস্র অভিযোগ করে আসছিল।নবান্নের পক্ষ থেকে এর নিরপেক্ষ আদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়ারী কর্মীদের।
তালিকা ধরে ঘুরে ঘুরে পর্যালোচনা করতে গিয়ে ওই কর্মীরা হতবাক।শাসকদলের নেতা কর্মীদের দোতলা, তিনতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাদের নাম তালিকায় আছে,কিন্তু যার মাথাগোঁজার কোনো ভালো ঘর নেই,তার নাম তালিকায় নেই।এই নিয়েই গত এক সপ্তাহ ধরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে।
নতুন সমস্যা হলো আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়ারী কর্মীদের এখন বার বার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে অনেক আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আর সমীক্ষার কাজ করতে চাইছেন না। বুধবার গভীর রাতে বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায় এক আশাকর্মীর বাড়িতে আগুন লাগে। ওই আশাকর্মী আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই অবস্থায় হুগলির আক্রান্ত আশাকর্মীর বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করলেন হুগলির BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লকেট বলেন, “এখানকার বিধায়ক এসে ভয় দেখিয়ে গিয়েছেন যে আশাকর্মীরা যেন মুখ না খোলেন। একজনের মুখ বন্ধ করতে পারবে, সবার মুখ বন্ধ করতে পারবে না।” এই ঘটনার পরেই চারিদিকে শোরগোল পরে যায়।এক আশাকর্মীকে ক্যামেরার সামনে বিধায়ককে নিয়ে অভিযোগ করতে শোনা যায়।
চারদিকে ধিক্কার ওঠে ওইসব নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে।আশা কর্মীর বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর দিনেই বলাগড়ের BDO ও পুলিশ ওই আশা কর্মীর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। শুক্রবার বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারিও আশা কর্মীর বাড়িতে যান।শনিবার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আশা কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। আবাস যোজনার বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। এই ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলকে নিশানা করেন BJP সাংসদ। তিনি বলেন, “গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়াগায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নাম আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে।
আমরা চাই আবাস যোজনার গোটা তালিকা বাতিল করে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে নতুন তালিকা তৈরি করা হোক।”
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের এই দাবির প্রেক্ষিতে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী লকেট চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেন , ”লকের চট্টোপাধ্যায় তাঁর নির্বাচনী এলাকার জন্য কোনও প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা আনতে পেরেছেন বলে আমার জানা নেই। এমনকি বাংলার উন্নয়নের জন্য সংসদে তাঁকে কোনও কথা বলতেও দেখিনি। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার কাজ তিনি করে যাচ্ছেন।এটা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।”
সত্যি এবার খেলা জমেছে।