দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সমর্থন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক : বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে সরব হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব। আজ সংসদে মাদক নিয়ে বিতর্কে সেই প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী রাজ্যগুলি আসলে রাজনীতি করছে বলে পাল্টা সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।তিনি বললেন,’ যারা বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা মাদক পাচারকারীদের হাত শক্ত করছেন।’
মোদি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে সীমান্তে রক্ষার দায়িত্ব থাকা বিএসএফ এর এক্তিয়ার তথা টহোল দাড়ির পরিধি বাড়িয়ে ৫০ কিমি করে। যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল ও পাঞ্জাবে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার আপত্তি জানায়। বিরোধী শিবিরের যুক্তি ছিল, বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপকরার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।তিনি বলেন,’ সীমান্তরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। বি এস এফ মাদক বাজেয়াপ্ত করবে কিন্তু তাদের মামলা করার অধিকার থাকবে না। তাহলে বিএসএফ কাজ করবে কিভাবে?’
একই সঙ্গে আজ মাদক বিতর্ক নিয়ে নাম না করে রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করেছেন।সদ্য গুজরাট নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী বিপুল মাদক উদ্ধার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, গুজরাট মাদক পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। আজ শাহ নিজের বক্তব্য সরাসরি রাহুলের নাম না করেবলেন,” “সম্প্রতি একজন নেতা, যিনি সংসদে নেই, যাত্রায় ব্যস্ত, তিনি গুজরাট নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন গুজরাট মাদক পাচারকারীদের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে।কিন্তু কোনো রাজ্যে মাদক উদ্ধার হওয়া মানে সেই রাজ্যে এজেন্সি ভাল কাজ করছে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে পাঞ্জাবে মাদক উদ্ধারের পরিমাণ কম তাহলে ধরে নিতে হবে, ওই রাজ্যে মাদক নেওয়ার কোন চল নেই”।আগামী দিনে মাদক পাচার আটকাতে সকল রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করার উপর জোর দেন শাহ। সেই মাদক কোথা থেকে প্রবেশ করে কোন পথে, কত হাত ঘুরে ওই দোকানের কাছে পৌঁছেছে, সেই গোটা নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করতে হবে।
মোদি সরকারের আমলের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি অতি সক্রিয়তার অভিযোগ নিয়েও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আজ শাহের বক্তব্যে,” এজেন্সি গুলিকে ক্ষমতা দিতে হবে। ক্ষমতা না দিলে এজেন্সি কাজ করবে কিভাবে!”