চাকরি-হারাদের নিয়ে কালীঘাট অভিযান!
নিউজ ডেস্কঃ বেআইনি নিয়োগের কারণে চাকরি হারিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের নিয়ে এবার কালীঘাট অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু নদিয়ার মতুয়া গড় রানাঘাটের সভামঞ্চ থেকে বলেন, দুর্নীতি আর বেনিয়মে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়েছে এই সরকার। যাঁরা আজ চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে অভিযানে নামবেন তিনি।
রাজ্যে অনিয়ম আর বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন অনেকে। সরকারের দুর্নীতির সেই ছবি সামনে চলে এসেছে। প্রতিদিন হাইকোর্ট সামনে আনছে, কত নিয়োগ হয়েছে বেআইনিভাবে। ৯৫২ জনের চাকরি গতকাল গিয়েছে, আজ গেল ৫৩ জনের চাকরি। এখন যাঁদের চাকরি যাচ্ছে, তাঁদের নিয়ে এবার আন্দোলনে নামব।
শুভেন্দু বলেন, তৃণমূলের দুর্নীতির কোপে চাকরি গেল যাঁদের তাঁদের বলব আপনারা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসুন। তারপর সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে কালীঘাট অভিযান করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন শুভেমনে করেন, অদূর ভবিষ্যতে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে শিক্ষা দফতরের ২০ হাজার কর্মী চাকরি হারাবেন।
মাত্র ৬ দিন আগে নদিয়ার রানাঘাতে সভা করে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর পাল্টা সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী একহাত নেন অভিষেককে। পিসি-ভাইপোকে একই বন্ধনীতে রেখে নাম না করেই তিনি একের পর এক অভিযোগ শানিয়ে যান। এই সভা থেকেই তিনি নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি উত্থাপন করেন।
এরপর তিনি বলেন, তিন হাজার ভুয়ো চাকরি দিয়ে ওমপ্রকাশ চৌতালা জেলে গিয়েছেন। দশ হাজার চাকরি বাতিল করে ত্রিপুরার লাল পার্টির সরকার উঠে গিয়েছে। তৃণমূলেরও একই পরিণতি হবে। যাঁদের চাকরি যাচ্ছে তাঁদের সবাইকে আমরা ডাকব। গান্ধী মূর্তির পাদদেশ জমায়েত করে বলব টাকা ফেরতের দাবিতে কালীঘাটের দিকে চলো।
প্রথমেই তিনি বলেন, এই জেলারই বিধায়ক মানিক ভাটাচার্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি বর্তমানে জেলে রয়েছেন। তাঁর কথা, তাপস সাহার কথা আজ স্পষ্ট। তাঁরা ডেকে ডেকে টাকা নিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে। শুভেন্দু অধিকারী সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, দরজা খুলে গিয়েছে। উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। ৯৫২ জনের পর ৫৩ জনের চাকরি গেল এদিন। সবে তো শুরু, দায়িত্ব নিয়ে বলছি আরও ১৮-২০ হাজার চাকরি যাবে শিক্ষা দফতরের কর্মীদের। এসএসসিতে ২১৫০২ জনের চাকরি যাওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। এদিন ৫৩ জনের মধ্যে নদিয়া জেলার মাতব্বররা আছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিন অভিষেককে নিশানা করে তিনি বলেন, তিনি নাকি কোনও টাকা খান না, তিনি টাকা খাবেন কেন, তিনি কয়লা খান, গরু খান, মদের বোতল খান। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার নাম বদলে দুর্নীতি, একশো দিনের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগেও সরব হন শুভেন্দু।