বিজেপিতে পদত্যাগের হিড়িক অব্যাহত
যত পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপিতে বাড়ছে ভাঙন। পদত্যাগের হিড়িক অব্যাহত রয়েছে বিজেপিতে। কয়েকদিন আগে শুভেন্দু-গড় নন্দীগ্রামে দল ছেড়েছিলেন বিজেপি এক ঝাঁক নেতা। পাঁশকুড়ায় চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এবার বিজেপিতে পদত্যাগের হিড়িক উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়।
তৃণমূল-যোগ জল্পনায় উত্তর ২৪ পরগনা বিজেপির চার নেতা দল ছাড়লেন শনিবার। তাঁরা তাঁদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সভাপতির কাছে। কী কারণে তাঁদের পদত্যাগ তা স্পষ্ট নয়। তবে এর পিছনে আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে চার আগে বিজেপিতে এই ভাঙন বুমেরাং হতে পারে। বিজেপি এবার পঞ্চায়েতে ঘুরে দাঁড়াতে প্রস্তুত। সেই কারণে তাঁরা এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। কিন্তু তাঁদের নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব্ ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বনিবনা নেই। তার প্রভাব পড়ছে নীচুতলায়।
একুশের নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপিতে এই পারস্পরিক দ্বন্দ্ব চলছে। বিজেপিতে ভাঙনের সূত্রপাত হয় তখন থেকেই। মুকুল রায় দিয়ে শুরু হয় বিজেপি থেকে তৃণমূলে ঘরওয়াপসি পর্ব। তারপর মুকুল অনুগামী বিজেপি বিধায়করা তৃণমূলমুখো হয়ে পড়েন। তৃণমূলের পরিষদীয় দল বহরে বাড়তে থাকে আর বিজেপির পরিষদীয় দল ছোটো হতে শুরু করে।
শুধু বিজেপির উপরতলায় ভাঙনই নয়, নীচুতলাতেও ভাঙন ধরে। ঘরওয়াপসি শুরু হয়। উত্ত্র ২৪ পরগনা থেকে মুর্শিদাবাদ এমনকী শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুরেও শুরু হয় বিজেপিতে ভাঙন। বিজেপিতে পদত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়। আবারও পঞ্চায়েক ভোটের মুখে সেই উত্তর ২৪ পরগনায় ভাঙন ধরল। চার বিজেপি নেতা বিজেপি ত্যাগ করলেন।
অভিযোগ, তাদের তৃণমূল যোগের উদ্দেশেই এই পদত্যাগ। পঞ্চায়েতের আগে তারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যেতে পারেন। দুদিন আগে মতুয়া-গড়ে সভা করে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর সেই সভার পরেই বিজেপিতে ভাঙনও তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপি হাতে গরম ইস্যু পেয়েও কাজে লাগাতে পারছে না। বিজেপি নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কোপে পড়ে বাংলায় পিছু হটছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মস্তবড় ইস্যু। সারদা, রোজভ্যালি, নারদ তো ছিলই, তারপর হালে তৃণমূলে পথে সবথেকে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি। আর তার দোসর হয়ে জুটেছে গরু ও কয়লা-কাণ্ড। পঞ্চায়েতের মুখে আবাস যোজনার ঘর নিয়ে তৃণমূল পড়েছে নতুন করে বিপাকে। সেখানে ভুরি ভুরি অভিযোগ আসছে। আবাস-তালিকায় দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের ছবি স্পষ্ট।
বিজেপিতে পদত্যাগের হিড়িক অব্যাহত
নিউজ ডেস্কঃ যত পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপিতে বাড়ছে ভাঙন। পদত্যাগের হিড়িক অব্যাহত রয়েছে বিজেপিতে। কয়েকদিন আগে শুভেন্দু-গড় নন্দীগ্রামে দল ছেড়েছিলেন বিজেপি এক ঝাঁক নেতা। পাঁশকুড়ায় চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এবার বিজেপিতে পদত্যাগের হিড়িক উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়।
তৃণমূল-যোগ জল্পনায় উত্তর ২৪ পরগনা বিজেপির চার নেতা দল ছাড়লেন শনিবার। তাঁরা তাঁদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সভাপতির কাছে। কী কারণে তাঁদের পদত্যাগ তা স্পষ্ট নয়। তবে এর পিছনে আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে চার আগে বিজেপিতে এই ভাঙন বুমেরাং হতে পারে। বিজেপি এবার পঞ্চায়েতে ঘুরে দাঁড়াতে প্রস্তুত। সেই কারণে তাঁরা এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। কিন্তু তাঁদের নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব্ ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বনিবনা নেই। তার প্রভাব পড়ছে নীচুতলায়।
একুশের নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপিতে এই পারস্পরিক দ্বন্দ্ব চলছে। বিজেপিতে ভাঙনের সূত্রপাত হয় তখন থেকেই। মুকুল রায় দিয়ে শুরু হয় বিজেপি থেকে তৃণমূলে ঘরওয়াপসি পর্ব। তারপর মুকুল অনুগামী বিজেপি বিধায়করা তৃণমূলমুখো হয়ে পড়েন। তৃণমূলের পরিষদীয় দল বহরে বাড়তে থাকে আর বিজেপির পরিষদীয় দল ছোটো হতে শুরু করে।
শুধু বিজেপির উপরতলায় ভাঙনই নয়, নীচুতলাতেও ভাঙন ধরে। ঘরওয়াপসি শুরু হয়। উত্ত্র ২৪ পরগনা থেকে মুর্শিদাবাদ এমনকী শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুরেও শুরু হয় বিজেপিতে ভাঙন। বিজেপিতে পদত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়। আবারও পঞ্চায়েক ভোটের মুখে সেই উত্তর ২৪ পরগনায় ভাঙন ধরল। চার বিজেপি নেতা বিজেপি ত্যাগ করলেন।
অভিযোগ, তাদের তৃণমূল যোগের উদ্দেশেই এই পদত্যাগ। পঞ্চায়েতের আগে তারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যেতে পারেন। দুদিন আগে মতুয়া-গড়ে সভা করে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর সেই সভার পরেই বিজেপিতে ভাঙনও তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপি হাতে গরম ইস্যু পেয়েও কাজে লাগাতে পারছে না। বিজেপি নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কোপে পড়ে বাংলায় পিছু হটছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মস্তবড় ইস্যু। সারদা, রোজভ্যালি, নারদ তো ছিলই, তারপর হালে তৃণমূলে পথে সবথেকে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি। আর তার দোসর হয়ে জুটেছে গরু ও কয়লা-কাণ্ড। পঞ্চায়েতের মুখে আবাস যোজনার ঘর নিয়ে তৃণমূল পড়েছে নতুন করে বিপাকে। সেখানে ভুরি ভুরি অভিযোগ আসছে। আবাস-তালিকায় দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের ছবি স্পষ্ট।