বিজেপি ছা়ড়লেন অশোকনগরের চার নেতা
নিউজ ডেস্ক::দল চাড়লেন অশোকনগরের চার বিজেপি নেতা। দলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তিনি। এই চার নেতা অভিযোগ করেছেন বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে গোপন আঁতাত তৈরি করেছে সেকারণেই তাঁরা আর বিজেপির সঙ্গে থাকতে চান না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তর ২৪ পরগনার চার নেতার এই দলত্যাগ বড় ঘটনা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যে। ফেব্রুয়ারিতেই হয়তো ঘোষণা হয়ে যাবে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ। তার মধ্যেই বিজেপির অন্দরে প্রকট হতে শুরু করেছে বিজেপির অন্দরেক দ্বন্দ্ব। বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতা থেকে শুরু করে জেলাস্তরে নেতারা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। রবিবার দলের বিজেপির দলের অন্দরের বিদ্রোহ আরও প্রকট হয়েছে। গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বিজেপির চার নেতা-নেত্রী দল ছেড়েছেন। তাঁদের অভিযোগ বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে গোপন আঁতাত তৈরি করছে। সেকারণেতাঁরা আর বিজেপিতে থাকতে চান না। তাঁদের মতে বিজেপি তার কৌলিন্য হারিয়েছে।
ফেসবুকে নিজেদের পদত্যাগ পত্র পোস্ট করেছেন অশোকনগরের কল্যাণগড় মণ্ডলের বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি, শুভম রায়, যুব মোর্চার নেতা পলাশ মণ্ডল। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক, শম্পা ঘোষ ও মহিলা মোর্চার সদস্য, ডলি দে। তাঁরা প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে চলছে দল। কোনও কাজ করে না। এটা সত্যিকারের ফাইট করার সময়। স্থানীয় স্তরের কোনও কর্মসূচি নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সহাবস্থান রেখে কাজ করছে তারা এমনই প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। বারাসতের বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। কোনওভাবেই তারা এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। সেকারণেই তাঁরা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিেয়ও বিজেপির অন্দরে জোর তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। শুভেন্দুর তারিখ রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি প্রকাশ্যেই বিজেপির ডেডলাইন দেওয়ার রাজনীতির সমালোচনা করেছিলেন। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারাও শুভেন্দু অধিকারীর উপরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। বঙ্গ বিজেপির অন্দরে ফাটল ক্রমশ চওড়া হতে শুরু করেছে। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন, তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন আর কয়েকদিন পর আর বিজেপি করার কেউ থাকবে না রাজ্যে।
পাল্টা বিজেপি নেতারাও তৃণমূল কংগ্রেকে নিশানা করেছেন। আবাস দুর্নীতি নিয়ে তুঙ্গে এখন রাজনৈতিক তরজা। দলে দলে পঞ্চায়েত সদস্যরা পদত্যাগ করতে শুরু করে দিয়েছেন। এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেছেন যত পঞ্চায়েত ভোটের সময় এগিয়ে আসবে তত তৃণমূল কংগ্রেসে পদত্যাগের সংখ্যা বাড়বে। বিজেপির সর্বভারতী সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গাছে বেঁধে মারার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।