মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচনে পর্যুদস্ত তৃণমূল!
নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ধাক্কা শাসক শিবিরে। তৃণমূলকে হারিয়ে বাঁশবেড়িয়ায় মাদ্রাসা নির্বাচনে জয়ী হল বামপন্থীরা। বাঁশবেড়িয়া ইদ মহম্মদ হাই মাদ্রাসায় পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ছটি আসনের সবকটিতেই বামপ্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
অভিভাবকরা ভোট দেওয়ার পর রবিবার সন্ধেয় ভোট গণনা শুরু হয়। গণনা শুরুর সময় থেকে ব্যবধান বাড়াতে থাকেন বাম প্রার্থীরা। গণনা শেষে দেখা যায় এক মহিলা-সহ ছয় বামপ্রার্থীই তৃণমূলের ছয়জনকে হারিয়ে দিয়েছেন। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার এগারো নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপারা ইদ মহম্মদ হাই মাদ্রাসায় ভোটার ছিলেন ১৩০৮ জন। ভোট দেন ৬৭৭ জন। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ভোট গণনা শেষ হয়।
প্রসঙ্গ এর আগে ছয়জন সদস্যই ছিলেন তৃনমূলের। স্থানীয় সিপিআইএম নেতা জুলফিকার আলি বলেছেন, মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিকঠাক চলছিল না। অনেক অভিযোগ উঠেছিল। সেগুলো নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে প্রচার চালিয়েছিল বামপন্থীরা। মানুষ বুঝতে পেরেছেন যে ভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা হচ্ছিল তার পরিবর্তন হওয়া দরকার ছিল। তিনি আরও বলেছেন, এই জয় কোনও দলের নয় মাদ্রাসার অভিভাবকদের জয়। এবার সবাইকে নিয়ে স্কুলের উন্নতি করাই হবে লক্ষ্য বলেছেন ওই নেতা।
এই বছরে পুরসভা নির্বাচনে বাঁশবেড়িয়ায় বিপুল জয় পেয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস। সেই পরিস্থিতিতে মাদ্রাসার নির্বাচনে কেন এমন ভরাডুবি, সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। এব্যাপারে অস্বস্তিতেও পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, মাদ্রাসা নির্বাচনের দায়িত্বে তাঁরা ছিলেন না। দায়িত্বে ছিলেন বিধায়ক দেবরাজ পাল। কেন পরাজয় হল, যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরাই বলতে পারবেন।
মাদ্রাসায় জয়ে খুশি বামেরা। এই ফল পঞ্চায়েতে প্রভাব ফেলবে বলে দাবি করেছেন সিপিএম নেতা জুলফিকার আলি। যে ভাবে শিক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রী থেকে আধিকারিকরা জেলে গেছেন, সেখান থেকেই মানুষ সব বুঝতে পারছেন বলে মন্তব্য করেছেন ওই সিপিআইএম নেতা।
ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার শুরু করেছে শাসক-বিরোধী সবাই। সেই সময় মাদ্রাসার পরিচালন সমিতিতে এই জয় বামেদের যে বাড়তি অক্সিজেন দেবে ।