সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে শুরু প্রথম পর্যায়ে প্রাথমিকের ইন্টারভিউ
নিউজ ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি থেকে সমস্যা শুরু।তাই নতুন করে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করতে নেমে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রথম থেকেই জোর দিলো স্বচ্ছতায়। হবু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ইন্টারভিউ টেবিলের মাথায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে শুরু হলো নিয়োগ পর্ব।
হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের নোটিফিকেশন জারি করেছিল, মঙ্গলবার থেকে ই শুরু হলো ইন্টারভিউ পর্ব।সকাল ১০ টায় টেট উর্তীন্যদের ডাকা হয়েছিলো।সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয় ইন্টারভিউ। মোট ৫ টা টেবিলে ৩ জন করে বিশেষজ্ঞ, প্রতিটি টেবিলের মাথায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে শুরু হয় ইন্টারভিউ।
উল্লেখ্য, এই সমস্ত পরীক্ষার্থীরা ২০১২,২০১৪,২০১৭র নোটিফিকেশন দেওয়ার পর আবারো রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পেয়েছিলেন হাইকোর্টের নির্দেশে। এই পরীক্ষার্থীদের হাতে আগেই তাদের পরীক্ষার উত্তরপত্র তুলে দিয়েছিল পর্ষদ।আর এবার সম্পূর্ণ নজরদারিতে ইন্টারভিউ এবং পরীক্ষা।
কি ভাবে চলছে পরীক্ষার্থীদের তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া?পার্থ জানিয়েছেন,পরীক্ষাথীদের পরিচয় পত্র এবং অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখার পর তাকে ভেরিফাইড স্লিপ দেওয়া হচ্ছে। সেই স্লিপে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোন টেবিলে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে।সেই স্লিপ নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন হবু শিক্ষক শিক্ষিকারা।২০০ জন পরীক্ষাথীকে ২ ভাগে ভাগ করে ১০০ জনের ইন্টারভিউ সকাল ১১-দুপুরে ১ টা পর্যন্ত।পরবর্তী পর্যায়ে দুপুরে ২ -বিকেলে ৪ টে পর্যন্ত।পার্থ বলেছেন,”ইন্টারভিউ এবং আপ্তিটিউট টেস্ট মিলিয়ে ৫ নম্বর করে মোট ১০ নম্বর পরীক্ষা।৫ টা টেবিলে একসঙ্গে ইন্টারভিউ হবে। ভিডিওগ্রাফি হবে গোটাটাই।যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে যেন আপস না হয়।
মঙ্গলবার এই কড়া নজরদারিতে ইন্টারভিউ দেওয়া ২ পরীক্ষার্থী অবশ্য বোর্ডএর এই ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।তারা বলেছেন,’আমরা আশাবাদী, এর পর হয়তো আমরা নিজেদের প্রাপ্য অধিকার পাবো’।তবে নিরাপত্তার পাশাপাশি ইন্টারভিউ একটি নতুন পরীক্ষাও যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।ঠিক যেমন ভাবে একজন শিক্ষক ছাত্রদের পরাবেন।যা একেবারেই নতুন বলে জানিয়েছেন পরীক্ষাথিরা।