রেশন ব্যবস্থা কে ঢেলে সাজাতে বিশেষ পরিকল্পনা কেন্দ্রের
নিউজ ডেস্ক :নতুন রেশন নীতি কার্যকর করতে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদেরও কার্যত যুক্ত করার পরিকল্পনা করলো কেন্দ্রীয় সরকার।রেশন ব্যবস্থা সরেজামিনে ক্ষতিয়ে দেখতে বিভিন্ন রাজ্যে জাও য়র কথা কেন্দ্রীয় দলের।সেই কাজে জেলা শাসক এবং সিনিয়র অফিসারদেরও যুক্ত করাতে হবে।এমনকি, স্বয়ং মুখ্য সচিব কেও এই কাজে যুক্ত হওয়ার অনুরোধ করেছে কেন্দ্র।আগামী ৩১ শে মার্চের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।আগামী ৫ জুলাই চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করবে কেন্দ্র।
১ লা জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ১ বছর গোটা দেশে পুরোপুরি নিখারচয় রেশন চাল গম বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।মোদী সরকার ‘এক রাষ্ট্র, এক দাম,এক রেশন ‘হিসাবে তুলে ধরবে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পকে ‘ প্রধানমন্ত্রী গরিব অন্ন সুরক্ষা যোজনা’ নামকরণ করে নতুন মোড়কে চালু করার প্রস্তাবও রয়েছে।রাজ্যে কে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে।কাজে লাগাতে হবে জেলা শাসক,সচিব, প্রধান এবং অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার। কেন্দ্রীয় সচিবের অনুরোধ, মুখ্য সচিব যেন তার ব্যস্ত সময়ের কিছুটা বের করে অন্তত ১-২রেশন দোকানের পরিস্তিতি খতিয়ে দেখেন।তা হলে বাকি অফিসরেরা উৎসাহ পাবেন।বাকি রাজ্য গুলিকে একই কথা জানানো হয়েছে।
কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রায় ৩৯ ধরনের বিষয়ের উপরে পর্যবেক্ষণ করে অভিজ্ঞতা জানাতে হবে অফিসারদের।তার মধ্যে অন্যতম রেশন দোকান পি ছু কতজন উপভোক্তা আছেন রয়েছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন, খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা, রেশন ব্যবস্থায় চালু প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে কিনা রেশন কার্ডের সঙ্গে আঁধার সংযোগ রয়েছে কিনা ইত্যাদি।
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলর্স এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক বিসম্ভার বসু জানিয়েছেন,জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী,দোকানের বাইরে রেশন সামগ্রী যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু এ রাজ্যে দুয়ারে রেশন কার্যকর আছে। তাই সেই পরিস্থিতিও বুঝতে চায় কেন্দ্র।
সরকারি সূত্রে খবর,রাজ্যে প্রায় ৬ কোটি রেশন সামগ্রী জাতীয় সুরক্ষা আইনের সুবিধা পাচ্ছেন।রাজ্যে প্রায় ৯.১২ কোটি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই দাবি করেছেন, বাকিদেরও ওই আইনের আওতায় আনা হোক। যদিও রাজ্যের দাবি, খাদ্য সুরক্ষা আইনের আও তার বাইরে থাকা মানুষদের বিনামূল্য রেশন দিচ্ছ তারাই।