সাম্প্রতিক একাধিক ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের
নিউজ ডেস্ক::দ্বিতীয় দিন ‘বন্দেভারত’ ট্রেনের উপর পাথর ছোঁড়ার ঘটনা সামনে আসে। মালদার ঠিক আগেই কেউ বা কারা একটা পাথর ছুঁড়ে মেরে ভেঙে দেয়া ওই ট্রেনের দরজার কাচ। স্বাভাবিক কারণেই এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতণ্ডা শুরু হয়েছে।সেই প্রসঙ্গেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন,
আগেও বলেছি, কাশ্মীর শুধরে গেছে। বাংলা কাশ্মীর হয়ে যাচ্ছে। দেশ বিরোধি শক্তি এ রাজ্যে সক্রিয়। এখানকার সরকার সেই শক্তিকে মদত দিচ্ছে। পার্লামেন্টে যখন সি এ এ পাস হল, তখন বিরোধিতা অনেক রাজ্যে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তিনদিন ধরে উৎপাত হয়েছে। আড়াইশো কোটি টাকার সম্পত্তি ধংস করা হয়েছে। যার সিংহভাগ রেলের সম্পত্তি। দেশের সম্পত্তিকে এই রাজ্যের একাংশ শত্রুর সম্পত্তি মনে করতে শুরু করেছে। দেশের সংবিধানকে তারা শত্রুপক্ষের সংবিধান বলে মনে করছে। তারা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের লোক। একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে। নুপুর শর্মার সময়ে দেখেছি। মন্দিরে সে সময় ঢিল মারা হয়েছে। 1947 এর আগে যেরকম হয়েছিল, আবার সেই দিকে যাচ্ছে। এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তৃণমূলের।
প্রশ্ন করা হয়,এই রাজ্য কি পশ্চিম বাংলাদের দিকে এগোচ্ছে?
উত্তরে তিনি বলেন,বর্ডার দিয়ে সিমি, জামাত আল কায়দা ঢুকছে। বিদেশী জঙ্গিরা এখানে আশ্রয় পাচ্ছে। সমস্ত গ্যাংস্টার বা সমাজবিরোধী এখানে শেল্টার পাচ্ছে, ধরা পড়ছে। এখানে দেশ বিরোধি শক্তি সহযোগিতা পায়। এখানে তাদের আধার কার্ড হয়। রেশন কার্ড হয়। দেশের অন্যত্র গিয়ে এরা বিস্ফোরণ করে।
এর পরেই কুণাল ঘোষের ট্যুইট সম্পর্কে বলেন,
মানুষের বুদ্ধি ভ্রষ্ট হলে এরকম কথা বলে। কমপক্ষে ঘটনার নিন্দা তো করুক। এদের কথায় বোঝা যায় কোথায় কিছু ঘটনা আছে – যা এরা হয়তো জানেন।
নজরুলমঞ্চ থেকে ঘোষিত ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ প্রসঙ্গে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় দিলীপ ঘোষ বলেন, দিদি বক ধার্মিক। মমতা ব্যানার্জির মুখ থেকে সত্যের বাণী শুনতে হবে, এটা তো একপ্রকার বিড়ম্বনা। সারাজীবন যিনি মিথ্যা বলায় রেকর্ড করেছেন। মিথ্যা ছাড়া কিছু বলেন নি। দেশের একতা ও অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। তিনি সত্যের কথা বলছেন, এটা সত্যিই বিড়ম্বনা। বলেই তিনি হাসতে থাকেন। তার পরেই ব্যঙ্গের সুরে বলেন,কার হাত থেকে কার সুরক্ষা – সেটাই তো পরিষ্কার হলো না।