কপিলমুনির আশ্রমের মহন্ত উচ্ছ্বসিত মমতার প্রশংসায়
নিউজ ডেস্কঃ বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর পরিদর্শনে যাচ্ছেন। ওখানে তাঁর একাধিক কর্মসূচি আছে। এরই মধ্যে ফোকাসে চলে আসলেন কপিলমুনির আশ্রমের মহন্ত সঞ্জয় দাস। মকর সংক্রান্তিতে কপিলমুনির আশ্রম দর্শনে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। অথচ এই তীর্থক্ষেত্রের জন্য কেন্দ্রের সরকার কিছুই করেনি।]
বরং যা কিছু উন্নতি, তা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে এই ভাষাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের তুমুল সমালোচনা এবং রাজ্য সরকারের অকুণ্ঠ প্রশংসা করলেন কপিলমুনি মন্দিরের মোহন্ত সঞ্জয় দাস।
গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি আশ্রমের পরিচালনার দায়িত্বে আছেন উত্তর প্রদেশের জ্ঞানদাস মহারাজের উত্তরাধিকারী সঞ্জয় দাস।
সঞ্জয় দাস বলেন,’আগে গঙ্গাসাগর কী ছিল, আর এখন কী হয়েছে, সেটা তো দেখতেই পাচ্ছেন।’
এখন শারীরিক অসুস্থতার কারণে জ্ঞানদাস মহারাজ বাইরে বের হন না। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনায় এবারই প্রথম মেলার তিনদিন গঙ্গা আরতি হবে। ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এই আয়োজনের সূচনা করবেন মোহন্ত জ্ঞানদাস। তিনি বলেন, ‘কপিলমুনির মন্দির ও সংলগ্ন চত্বর সাজিয়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় অবদান রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। কেন্দ্রের নয়।
রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্যে চারটি ঘর তৈরি হয়েছে। যার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সমুদ্রের গ্রাস থেকে মন্দির রক্ষা করার জন্য যা করার, তা মুখ্যমন্ত্রীই করছেন।’ কপিলমুনির মন্দির থেকে কয়েকশো মিটার হেঁটে গেলেই সমুদ্রতট।
সেখানে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে গঙ্গা সাগরে হোগলা পাতার অস্থায়ী ঘর নির্মাণ, কপিল মুনি আশ্রমকে আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা – সবটাই আজ মুখ্যমন্ত্রী সরজেমিনে খতিয়ে দেখবেন।