‘জিপিএস ট্র্যাকার ‘ দিয়ে পূর্ণাথীদের গতিবিধিতে নজর!
নিউজ ডেস্ক :চলতি বছরে নেই কুম্ভমেলা।করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ।সেই কারণে এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় প্রায় ৬০-৭০লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন।
সাগর মেলায় কত পূর্ণার্থী আসছেন,তাঁর নজরদারিতে এবার সাগর দ্বীপের সমস্ত পরিবহনের মাধ্যমে লাগানো থাকছে জিপিএস ট্রাকার। এই জিপিএস ট্র্যাকার মাধ্যমে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ হবে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
মেলা নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তীর্থযাত্রীদের জন্য তৈরি হয়েছে হগলা ছাউনির অস্থায়ী আস্তানা। অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা এড়াতে সেই সমস্ত হোগলা ছাউনিতে ছড়ানো হচ্ছে অগ্নি নিরোধক রাসায়নিক দ্রব্য।সুরক্ষার স্বার্থে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে দমকল।পুজোর সময় কোটালে সাগরের দুই নম্বরে স্নান ঘাট ভেঙেছে।৬ টি ঘাটের মধ্যে প্রায় সবকটাই অল্প বিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সিলভার স্যান্ড বোঝাই করে নদীর পার বাঁধাইয়ের কাজ চলছে।
সরকারি ভাবে মেলা শুরু ৮ জানুয়ারি থেকে।ভিন রাজ্যের তীর্থযাত্রীদের ভিড় এখন থেকেই আসা যাওয়া শুরু হয়ে গেছে। মেলার প্রস্তুতি দেখতে আজ বুধবার দুপুরে সাগরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাগরে রাত্রি বাস করবেন তিনি।
মুখ্য মন্ত্রী এই সফরের আগেই মেলার প্রস্তুতি শেষ করে ফেলার চেষ্টা চলছে।মেলা জুড়ে বোসে গিয়েছে ১০০ সি সি টি ভি। মুখ্যমন্ত্রীর সাগরে পা ফেলে তিনটি হেলিপ্যাডের উদ্বোধন করবেন। হেলিপ্যাড প্রাঙ্গণ থেকেই ভার্চুয়ালি সাগরের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা বলা হয়েছে। সেখান থেকে তিনি যাবেন ভারত সেবাশ্রম আশ্রমএ। তারপরে বিকেলে কপিল মুনির আশ্রমে। সেখানেও মন্দিরের কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের করার কথা হয়েছে তার।