পর্ষদের অফিস থেকে ফোন! তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
নিউজ ডেস্কঃ প্রাথমিকে নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! এবার ‘পর্ষদের’ ফোন নম্বর থেকে ফোন! চাঞ্চল্যকর সেই অভিযোগ সামনে আসতেই সিবিআইকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চের৷ অবিলম্বে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। আর সেই তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এবার সেই তদন্তে নয়া মোড় চলে আসতে চলেছে?
বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে এমন একাধিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কার্যত এই বিষয়ে অনড় আদালত। প্রাথমিকে যে ১৪০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কার্যত আজ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হলে সেই নির্দেশ বহাল রেখেছে। মামলার শুনানিতে চাঞ্চল্যকর এক দাবি করেন ২০১৭ সালের এক চাকরিপ্রার্থী। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বলেন, ‘শিল্পা চক্রবর্তী নামের এক প্রার্থীকে ফোন করে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে৷ এখানে এসে দেখা করলে আপনার চাকরি হয়ে যাবে ৷’
হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত তথ্য সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে আদালত। আর এরপরেই বিচারপতি সিবিআইকে ওই ফোন নম্বর খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
এই বিষয়ে সত্যতা খতিয়ে দেখতে সিবিআইকে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ ওই ফোন নম্বর আদৌ ভুয়ো না এর মধ্যে অন্য কোনও রহস্য আছে তা খতিয়ে দেখতে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্ট।
বলে রাখা প্রয়োজন, পর্ষদ কখনও কাউকে ফোন করে এমন দাবি করতে পারে না। যদিও বা করা হয় তাহলে কে করেছে? কেনই বা করা হয়েছে? সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যা বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে নতুন করে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একেবারে গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। আর সেই তদন্তে নেমে আরও বেশ কয়েকজনকে জেরা সিবিআইকে জেরা করতে চায় বলেই জানা যাচ্ছে। আর এর মধ্যেই পর্ষদের ফোন নম্বর ঘিরে রহস্য তৈরি হচ্ছে। আর সেই রহস্য ভেদ করতে ফের একবার সিবিআই ভরসা হাইকোর্টের।