চাঞ্চল্যকর দাবি তৃণমূল বিধায়কের
নিউজ ডেস্ক::শুভেন্দু অধিকারী ২৪ ঘণ্টা আগেই হাওড়ার পাঁচলার জনসভা থেকে তৃণমূলের অভিযোগ করেছিলেন গা জোয়ারি করে প্রার্থী দিতে না দিয়ে বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত গড়ে তোলা হয়েছে গতবার। এবার সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুলে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক।
পাঁচলার তৃণমূল বিধায়ক গুলশন মল্লিকের দাবি, শুভেন্দুর অধিকারীর নির্দেশেই বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত হয়েছে। উনি তখন তৃণমূলে ছিলেন। তখন উনিই নির্দেশ দিয়েছেন বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত করছে হবে। কোনও আসন বিরোধীদের দিলেন হবে না। এখন উনিই আবার অভিযোগ করছেন বিজেপিতে গিয়ে।
পাঁচলার বিধায়ক আরও বলেন, তখন শুভেন্দু অধিকারী আমাদের দলের নেতৃত্বে ছিলেন। উনি যেমন নির্দেশ দিয়েছিলেন তেমন কাজ হয়েছে। এখন আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ভোট করতে হবে। এতএব আমরা ভোট করব, প্রার্থী দিতে দেব।
গুলশন মল্লিকের কথায়, আমরা এবারও জিতব। অনেক ভালোভাবেই জিতব। জিতব সংগঠনের জোরে, ক্ষমতার জোরে। সংগঠনর শক্তিতে এবার আরেও ভালোভাবে জিতে আমরা ক্ষমতা দখল করব। গতবারের থেকেও এবার ভোলে ফল হবে বলে পাঁচলার তৃণমূল বিধায়কের দাবি।
তিনি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন, গতবার অর্থাৎ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠ হয়েছিল। আর এর জন্য তিনি দায়ী করেছেন শুভেন্দু অধিকারীকেই। গতবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে ছিলেন। তিনি দলকে পরিচালনা করেছেন। দলকে বার্তা দিয়েছেন, সেইমতো নীচুস্তরের নেতাকর্মীরা কাজ করেছেন।
উল্লেখ্য শুভেন্দু অধিকারী পাঁচলার জনসভা থেকে অভিযোগ করেছিলেন গতবার ভোট লুঠ করেছিল তৃণমূল। ভোট লুঠ করে বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত করা হয়েছিল। পাঁচলার বিডিও অফিস অবরুদ্ধ করে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। তারপর ভোটের দিন এলাকা সন্ত্রস্ত করা হয়েছে। এইসব হয়েছে পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিকের নেতৃত্বে। এদিন শুভেন্দুকে তার পাল্টা দিলেন গুলশন।
যে শুভেন্দুর নির্দেশে ভোট লুঠ বা বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত হয়েছে বলে দাবি গুলশনের, তিনি এখন বিজেপিকে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা আবার বলেন, উভয়েই সেইসময় তৃণমূলে ছিলেন। আর শুভেন্দুবাবু তো বিজেপিতে যোগ দিয়েই বলেছিলেন, বিজেপিতে এসে শ্বাস নিতে পারছি। অর্থাৎ তৃণমূল যে নর্দমার মতো নোংরা তা তিনি বুঝিয়েই দিয়েছিলেন। আর বিজেপি গঙ্গাজলের মতো পবি্ত্র। এখানে সবাই আসে শুদ্ধ হতে।