ফের বাংলায় ‘যখের ধন’!
নিউজ ডেস্ক::ফের বাংলায় টাকার পাহাড়! খড়দহের একটি ফ্ল্যাটে বিপুল টাকার হদিশ পেল বারাকপুর কমিশনারেটের তদন্তকারীরা। প্রায় ৩২ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দীর্ঘ তল্লাশিতেই বড়সড় এই সাফল্য। তবে বিপুল পরিমাণ টাকা কেন ওই বাড়িতে লুকানো ছিল? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি কমিশনের টাকা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দেওয়ার নামে তা নেওয়া হত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। বিপুল পরিমাণ এই টাকা কে বা কারা রেখেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। ওই ফ্ল্যাটের মালিক কে সে বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। আর সেই তদন্তে নেমে টালিগঞ্জ, বেলঘরিয়া সহ বিভিন্ন জায়গাতে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। আর এর মধ্যেই বাংলায় ফের যকের ধন! এবার ঘটনাস্থল খড়দহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন এলএলবি, এমবিএ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তি করতে প্রচুর টাকা নেওয়া হচ্ছে। আর সেই ঘটনার সূত্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা।
আর সেই সূত্রেই খড়দহের ওই ফ্ল্যাটে হানা দেন তদন্তকারীরা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত থেকে খড়দহে পুলিশের ম্যারাথন তল্লাশি চলে। আর সেই দীর্ঘ তল্লাশিতে একেবারে ৩২ লক্ষ টাকা নগদ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। আর এই বিপুল পরিমান টাকা উদ্ধারের ঘটনা সামনে আসতেই পাড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন মাস আগেই অমিতাভ দাস নামে এক ব্যক্তি ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। যিনি নিজেকে অধ্যাপক পরিচিয় দিয়েছিলেন এলাকাতে। কিন্তু সেই অধ্যাপনার আড়ালে এত বড় কাণ্ড! সামনে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
আর এই ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এখন দুর্নীতি আখাড়া হয়ে উঠেছে। শিক্ষা ব্যবস্থার হাল বাংলার মান একেবারে নিচু স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। দুর্নীতির চরম চূড়ায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে তৃণমূল সরকার নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতার। একই সঙ্গে এই ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।