সামাজিক সম্মান হারানোর অভিযোগ নিয়ে আদালতে বরখাস্ত শিক্ষকদের অনেকে

0 0
Read Time:3 Minute, 26 Second

নিউজ ডেস্ক::আদালতের নির্দেশে ৯৫২ জন শিক্ষকের ভুয়ো নিয়োগের লিস্ট বের করেছে পর্ষদ। ফলে তাদের চাকরি তো যাচ্ছেই সঙ্গে হারাচ্ছে সমাজিক সম্মান। এই অভিযোগ নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সাত জন শিক্ষক। ইলিয়াস বিশ্বাস সহ বাকি মামলাকারীরা প্রত্যেকেই নবম-দশমের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। মামলাকারীদের বক্তব্য, হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের নম্বর বেড়েছে। কিন্তু তারপরও স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে ৯৫২ জনের যে ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে তাঁদেরও নাম রয়েছে। এতে তাঁদের সামাজিক সম্মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নাগরিক মহল বলছেন চাকরি কেনা-বেচা না হলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

আভিযোগে বলা হয়েছে যে নিয়োগের স্বচ্ছতার অভাবের জন্যই এই বিভ্রাট। মামলাকারীদের বক্তব্য, ২০১৮ সালেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রশ্ন ভুলের বিতর্কে তাঁরা এক নম্বর করে পেয়েছেন। এমন অবস্থায় তাঁদের অভিযোগ, এসএসসির কাছে সব তথ্য থাকা সত্ত্বেও কমিশন তা সিবিআইকে না দেওয়ার ফলেই তাঁধের হেনস্থা হতে হচ্ছে। এই সব নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মামলাকারীরা। প্রসঙ্গত, এর আগে ৯৫২ জনের ওএমআর শিট সংক্রান্ত তালিকায় নাম থাকা নিয়ে শিক্ষকদের একাংশ সিবিআই ও কমিশনের কাছেও গিয়েছিল। নিজাম প্যালেসে যেদিন শিক্ষকদের একাংশ দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেদিন তাঁরা নিজেরাই সংবাদমাধ্যমের সামনে সেকথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন।

কিন্তু সেই কমিশনের তরফে তালিকায় রিমার্ক হিসেবে উল্লেখ করা ওই অংশটিতেও স্বস্তি পাচ্ছেন না তাঁরা। সেদিন নিজাম প্যালেসের বাইরে দাঁড়িয়ে শিক্ষকরা বলেছিলেন, “আমরা নিজেদের এলাকায় হোক বা নিজেদের স্কুলে সব জায়গা মেন্টালি হ্যারাস হচ্ছি।” এর আগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলর এক শিক্ষিকা। তাঁর বক্তব্য ছিল নথি যাচাই, ইন্টারভিউ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া মেনেই তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কেন তাঁর নাম এসএসসি ওই তালিকার রাখল, সেটাই জানতে চান তারা। ফলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এক চরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!