‘নিজেকে বড়ো কলঙ্কিত লাগছে’ – প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক

0 0
Read Time:3 Minute, 0 Second

নিউজ ডেস্ক::ইডি ও সিবিআই মনে করেন যে তৃণমূলের বিধায়ক ও প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মাস্টার মাইন্ড। তার গলায় এখন আক্ষেপের সুর কি তাঁর আত্মগ্লানি? মনে হয় না। তবে দুঃখে কাতর। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর থেকেই কার্যত ভেঙে পড়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। তদন্ত যত এগিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে ততই একের পর এক অভিযোগ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই মামলায় নাম জড়িয়েছে মানিকের স্ত্রী ও পুত্রেরও। এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার মানিকের গলায় শোনা গেল আক্ষেপের সুর। বললেন, ‘‘আমার জীবনে আর কিছুই নেই। কলঙ্কিত লাগছে।’’

সুশীল সমাজের একাংশ বলছেন,একজন এমন উচ্চ শিক্ষিত মানুষের নৈতিকতা তলানিতে গেলেই হয়তো এমন কাজ করতে পারে।


শনিবার এই দুর্নীতি মামলায় মানিককে নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সূত্রের খবর, আদালতকক্ষ থেকে বার হওয়ার পর ঘনিষ্ঠ মহলে ওই কথা বলেছেন মানিক। নাগরিক মহল বলছেন, ওনার একথা শুনে স্বাভাবিক কারণেই আমাদের খুব লাগছে। কিন্তু সত্যি যদি উনি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন,তাহলে এই শাস্তি ওঁর প্রাপ্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের। ঘটনাচক্রে, শনিবারই মানিকের স্ত্রী ও পুত্র আদালতে হাজিরা দেন।

তাঁরা জামিনের আবেদন করেন। তবে সেই আবেদনের বিরোধিতা করেছে ইডি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এই প্রেক্ষাপটে মানিকের এ হেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। আদালতের বাইরে প্রায় কেঁদে ওঠে মানিক বলেন,”আমাকে মেরে ফেলো, কিন্তু আমার স্ত্রী আর ছেলেকে জড়িয়ো না।’’ এখন সেই প্রবাদ সকলে স্মরণ করছে ‘ভাবিয়া করিও কাজ,করিয়া ভাবিও না।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!