শত্রুঘ্নকে দেখে শিখুন, মমতাকে কটাক্ষ অধীর চৌধুরীর

0 0
Read Time:4 Minute, 37 Second

নিউজ ডেস্কঃ শত্রুঘ্ন সিনহা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হয়েও রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাকে দরজা সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তৃণমূল রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে কোনও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া না জানালেও শত্রুঘ্ন রাহুলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থেকেছেন। আর তা শোনার পর অধীর চৌধুরী পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে সাগর থেকে পাহাড় পরিক্রমা করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এদিন অধীরের ভারত জোড়ো যাত্রা মুর্শিদাবহাদ পরিক্রমা করছে। এই যাত্রায় অংশ নিয়ে অধীর চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দেন শত্রুঘ্ন সিনহার কাছ থেকে শিখতে।

রাহুল গান্ধীর পক্ষে সওয়াল করে অধীর বলেন, শত্রুঘ্ন সিনহা যে মন্তব্য করছেন সেখান থেকে দিদির শেখা উচিত। দিদির তো অন্তত মুখে বলা উচিত ছিল, রাহুল গান্ধী যে আন্দোলন করছে সেটাকে আমি সমর্থন করি। রাহুল গান্ধী তো কোনও অন্যায় কথা বলছেন না। তিনি কারও প্রতি বিদ্বেষে কথা না বলে ভারতকে এক সূত্রে গাঁথতে চাইছেন।

অধীর চৌধুরী বলেন, উত্তরপ্রদেশে তো কংগ্রেসের এই মুহূর্তে কিছু নেই। কিন্তু সেখানও ভারত জোড়ো যাত্রা প্রবেশ করার পর মানুষের ঢল নেমেছে। তা দেখে বিজেপি আতঙ্কিত। বিজেপির যাঁরা এতদিন উপেক্ষা করে এসেছেন, তাঁরা আজকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে মানুষের উন্মাদনা দেখে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন।

অধীর বলেন, আজকে তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা যা বলছেন, তা একেবারে হক কথা। কিন্তু বাংলার দিদি তা মানতে নারাজ। তৃণমূল সেই সহজ সত্যটা মানতে পারছেন না। তৃণমূল আজও স্পষ্ট করতে পারেনি তারা ভারত জোড়োর পক্ষে না বিপক্ষে। অথচ তারা ভারত জোড়োর পক্ষে কথা বলতেই পারতেন। আর তা না হলে বিপক্ষে তো বলতে পারেন।

অধীরের কথায়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা বাংলার সরকারি দল তৃণমূলের অবস্থানের সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, ভারত জোড়োর পক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাও বলতে পারেন। কারণ ভারত জোড়োর পক্ষে কথা বললে মোদী রেগে যেতে পারেন। তাই দিদি কোনও কথা বলবেন না।

শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, মমতাই আমার নেত্রী। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছি। তিনি প্রকৃত অর্থেই গোটা দেশের আম জনতার নেত্রী। কিন্তু এমন কিছু জিনিস ঘটে যায়, যার থেকে নজর সরানো যায় না। তেমনই একটা বৈপ্লবিক উদ্যোগ হল রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা। রাহুল এই যাত্রার মাধ্যমে দেশের যুব সমাজের আইনৃকন হয়ে গিয়েছেন।

শত্রুঘ্নের মতে, রাহুল গান্ধী এই মুহূর্তে দেশের প্রত্যাশ্যা, প্রতীক্ষার প্রতীক। অভাবনীয় এই ভারত পরিক্রমায় কারও সমালোচনা করেননি রাহুল, দেশকে ভালোবাসর মন্ত্রে বাঁধতে চেয়েছেন। তার দশক ধরে যে উপহাস, উপেক্ষা আর তিরস্কারের শিকার হয়েছেন তিনি, তার জবাব তিনি দিয়েছেন ভালোবাসার মন্ত্রে। তিনি যা করে দেখিয়েছেন, তাতে সাফল্য, সম্মান এবার তাঁর কাছে ধরা দেবে। শত্রুঘ্নের এই মন্তব্য দেখেই অধীর শিখতে বলেছেন মমতাকে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!