তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যে ফের বিতর্ক

0 0
Read Time:3 Minute, 43 Second

নিউজ ডেস্কঃ বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ে না। বলা ভাল তিনি কিছু মন্তব্য করতেই বিতর্ক তৈরি হয়। তা সেই দু পয়সার সাংবাদিক হোক কিংবা মা কালীকে নিয়ে! এবার দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে বেরিয়ে তিনি যে মন্তব্য করলেন, তাতে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা সে যতই প্রাসঙ্গিক হোক না কেন।

দলের কর্মসূচি দিদির সুরক্ষা কবচ। নিজের কেন্দ্রের কিছু কিছু জায়গায় বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি মন্তব্য করলেন, কাঁচা ঘর গরমকালে আরামদায়ক। ঠান্ডা থাকে। কী প্রসঙ্গে তিনি এই মন্তব্য করেছেন, সেই প্রশ্নই উঠছে। আর তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

গ্রামে এখনও অনেকের বাড়িই কাঁচা। সেরকমই একের পর এক বাড়িতে যাচ্ছেন মহুয়া মৈত্র। সেরকমই এক বাড়ির বাসিন্দাদের সামনে তিনি বলেন। এই বাড়িগুলি গরমকালে ঠান্ডা থাকে। সে কারণে গরমকালে আরামও লাগে। তবে এইসব বাড়িতে শীতকালে যে ঠান্ডা লাগে তাও স্বীকার করে নেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে গ্রামবাসী মহিলার কাছে মহুয়া খোঁজ করেন, ঘরের রান্নার কাজ হয়ে গিয়েছে কিনা? তবে মহুয়া মৈত্রে যে কথা বলেছেন, কাঁচা ঘরে গরমকালে আরাম লাগে, তা সত্য। কিন্তু কেন এই মন্তব্য?

এই মুহূর্তে শিক্ষায় নিয়োগে দুর্নীতিতে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। পাশাপাশি অপর একটি বিষয় নিয়েও রাজ্য তোলপাড়। তা হল আবাস দুর্নীতি। বিভিন্ন জেলায় অধিকাংশ পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। আর সেইসব জায়গায় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য কিংবা স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আবাস দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। সে পঞ্চায়েতের সদস্য হোন কিংবা তার আত্মীয় কিংবা কাছের লোক, পাকা বাড়ি থাকলেও আবাস যোজনায় তাঁদের নাম ওঠা কিংবা টাকা পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় প্রতিদিনই নিত্যনতুন ঘটনা সামনে আসছে।

জানা গিয়েছে, দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে ঘোরার সময় তৃণমূল সাংসদকে ঘর না পাওয়ার অভিযোগ শুনতে হয়েছে। সেই সময়ই মহুয়া মৈত্র গরমে কাঁচা বাড়িতে আরাম বেশির প্রসঙ্গ টানেন বলে জানা গিয়েছে। তবে মহুয়া মৈত্র এলাকা ছাড়ার পরে গ্রামবাসীকে তাঁদের ঘর না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কোনও আশ্বাসবাণী পাননি বলেই জানা গিয়েছে। অনেক গ্রামবাসীই জানাচ্ছেন তাঁরা ঘর পাওয়ার আশা ছেড়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায় সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!