সল্টলেকে বিধ্বংসী আগ্নিকান্ড
নিউজ ডেস্কঃ সকালেই সল্টলেকের FD ব্লকের অস্থায়ী বাজারে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন দমকলের ২ কর্মী। দমকলের ১২টি ইঞ্জিন গিয়ে ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয়েছে দমকলকর্মীদের। খবর পেয়ে সাত সকালেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। জানা যায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে একটি ফুলের দোকান থেকে। তাঁরা নিজেরাই প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু হাওয়ার দাপটে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণেই আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড় আশপাশের দোকানে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন প্রথমে ওই ফুলের দোকানের ঝুপড়িতেই আগুনের শিখা দেখতে পান তাঁরা। নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেনষ। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। হু হু করে তা ছড়িয়ে পরে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে সকলেই হাত লাগায় আগুন নেভানোর কাজে।
উল্লেখযোগ্য যে সকালে অত্যন্ত দ্রুত দমকল বাহিনী ও দমকল মন্ত্রী সেখানে এসে উপস্থিত হন। দমকল এসে পৌঁছনোর আগেই অস্থায়ী বাজারের প্রায় শতাধিক ঝুপড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল গোটা এলাকা। প্রথম দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে পরে আরও ১০টি দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি। দমকল তদন্ত করে দেখছে। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে একাধিক অস্থায়ী ঝুপড়ি। বিপুল ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝুপড়ি দোকানের মালিকরা। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে ওই অস্থায়ী ঝুপড়ি থাকা নিয়ে নাগরিক মহল প্রশ্ন তুলেছেন।