সিপিএম যুবনেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ায় পুলরলিয়ার গ্রামে রাত কাটালেন না তৃণমূল বিধায়ক
নিউজ ডেস্ক::‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি চলেছে সর্বত্র। চলেছে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ কর্মসূচিও। পুরুলিয়ার সেই কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন। কিন্তু সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে সিপিএমের যুবকর্মীকে গুলি চালানোর পর এলাকায় রাত কাটানোর কর্মসূচি বাতিল করলেন স্থানীয় বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন। শুক্রবার দলের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁর বান্দোয়ানের ভোমরাগড় গ্রামে রাত কাটানোর কথা ছিল। কিন্তু মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় সেই কর্মসূচি থেকে পিছপা হলেন তৃণমূল বিধায়ক। প্রশ্ন উঠেছে, সিপিএম নেতাকে কে বা কারা গুলি করলো? একেই মাওবাদী পন্থীদের প্রধান শত্রু সিপিএম। সেক্ষেত্রে মাওবাদীদের দিকে নজর যেতে পারে।
তৃণমূল বিধায়ক পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে কুচিয়া গ্রাম থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি শুরু করছিলেন। দুয়ারসিনিতে পুজো দিয়ে কর্মসূচি নেওয়ার পর সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। মা-কপালিতে বৈঠক করে তিনি বেরিয়ে যাবার কিছুক্ষণ পরেই সেখানে সিপিএমের এক ছাত্রনেতা গুলিবিদ্ধ হন। আর তারপরেই মাওবাদী উপদ্রুত ভোমরাগড়া গ্রামে দলীয় কর্মীর বাড়িতে রাত কাটানোর কর্মসূচি বাতিল করেন বিধায়ক। ভোমরাগড় থেকে বান্দোয়ান ব্লক সদরে এসে যথারীতি বাড়িতে রাত্রিবাস করেন। যদিও সিপিএমের যুব নেতা গ্রেফতারের পরেই স্থানীয় মানুষের ৩ জনকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে। একটি অস্ত্র উদ্ধার হয়। এখন পর্যন্ত ওই আততায়ীর করা সে বিষয়ে পুলিশ মুখ খোলে নি।