ঝালদা পৌরসভা এবার কংগ্রেসের দখলে

0 0
Read Time:3 Minute, 16 Second

নিউজ ডেস্ক::ঝালদা পৌরসভা বহুদিন ধরেই সংবাদের শিরোনামে। প্রথমে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকলেও কংগ্রেসের এক প্রতিনিদিকে হত্যা করার পরে তৃণমূলের চেষ্টায় একটা অচলাবস্থা তৈরি হয় ঝালদা পৌরসভায়। শেষপর্যন্ত আদালতের নির্দেশে সোমবার আস্তাভোট হয়। আস্থাবোটে ৭-০ ব্যবধানে জিতে ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। ঝালদা পুরসভায় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গড়ল কংগ্রেস। শেষমেশ ৬ কংগ্রেস কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে চেয়ারপার্সন হলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। 

প্রায় অনৈতিকভাবেই ঝালদা পৌরসভায় সরকার প্রশাসক বাসায়। তার বিরুদ্ধে কোর্টের রায় ছিল আস্থা ভোটের। আজকের সেই আস্থাভোটে কংগ্রেসের ৬ কাউন্সিলর চেয়ারপার্সন হিসেবে সমর্থন জানান নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে। যদিও ভোটের মাঝেও একে অপরের উদ্দেশ্যে কথার বাণ ছুড়ল কংগ্রেস, তৃণমূল শিবির। কংগ্রেস শিবিরের ব্যাখ্যা, তৃণমূল কাউন্সিলররা ইচ্ছাকৃত দেরি করার চেষ্টা করছিলেন নির্বাচন প্রক্রিয়ায়। নির্বাচনে সুপারভাইজার হিসেবে এসডিও রাজ্যের শাসকদলকে সাহায্য করে দিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো।

ঝালদা পৌরসভার টানাপোড়েনের একটা মর্মান্তিক ইতিহাস আছে। ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন তপন কান্দু। কংগ্রেস প্রার্থী তপন ১২৭ ভোটে হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দুকে, যিনি কিনা তাঁর নিজের ভাইপো। তার পর গত ১৩ মার্চ খুন হয়ে যান তপন। সঙ্গীদের সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান। এ যাবৎ ঝালদা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে কখনও জেতেনি তৃণমূল। এদিকে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে কাকা তপন কান্দুর আসনে জয়ী হন ভাইপো মিঠুন কান্দু।ওই আসন ধরে রাখলেও বোর্ড গড়তে পারেনি কংগ্রেস। তারপর থেকেই ঝালদা পুরসভা নিয়ে জারি হয় টানাপড়েন। এরপর অনেক জল গড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত কোর্টের হস্তক্ষেপে আপাতত সমস্যার সমাধান হলো বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!