নেতাজির নেতৃত্বে ‘আই এন এ ‘ গঠন

0 0
Read Time:3 Minute, 16 Second

নিউজ ডেস্কঃ সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে চিন্তিত সুভাষ
চন্দ্র বসু সর্বদাই একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হয়ে থাকবেন। যদিও বোস ভারতের স্বাধীনতার দিকে নিজের পথ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন
এটা কত কঠিন হতে যাচ্ছে তা নিয়ে সতর্ক হয়ে তিনি ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন, যা ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ নামে পরিচিত।


১৯৪৩ সালে যা প্রাথমিকভাবে ১৯৪২ সালে রাস বিহারী বসু দ্বারা গঠিত হয়েছিল। আইএনএ, তা যতই স্বল্পস্থায়ী হোক না কেন, অবশেষে ব্রিটিশদের তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অবদান রাখে
এই ‘আই এন এ’।নিজের জমি তথা শেষ পর্যন্ত ভারতের স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করেছিল তারা।


সুভাষ চন্দ্র বসু সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন, “আমাদের সামনে একটি ভয়ঙ্কর লড়াই রয়েছে শত্রু শক্তিশালী, নীতিহীন এবং নির্মম। স্বাধীনতার এই চূড়ান্ত অগ্রযাত্রায়,
আপনাকে ক্ষুধা, অবহেলা, জোরপূর্বক মিছিল এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে। শুধুমাত্র যখন আপনি
এই পরীক্ষায় পাশ করলেই হবে স্বাধীনতা তোমার।” পাশাপাশি আই এন এ অনেক লড়াই ও সংগ্রাম করেছে
ভারতীয় ডোমেইনে স্বাধীনতা আনার জন্য । এই সবই সম্ভব হয়েছিল সুভাষ চন্দ্র বসুর অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার জন্য।

তিনি সুনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন এবং নিজেই পথ দেখিয়েছিলেন।তিনিই ভারতীয় মহিলাদের এই যুদ্ধে সামিল হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন
। ভারতের স্বাধীনতার কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি ।

এর একটি মহিলা রেজিমেন্ট, আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠিত হয়, যা ক্যাপ্টেন লক্ষ্মীর অধীনে ছিল
। একে বলা হত ‘রানি ঝাঁসি রেজিমেন্ট’। আজাদ হিন্দ ফৌজ হয়ে গেছিল ভারতের জনগণের কাছে ঐক্য ও বীরত্বের প্রতীক। বোস সৈন্যদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন
তাঁর মূল্যবান বক্তৃতা দিয়ে। তার বিখ্যাত উক্তি হল, “তোমরা আমাকে রক্ত ​​দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো !”

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!