তৃণমূল ভাল কোম্পানি, কিন্তু ফেরিওয়ালা খারাপ!
নিউজ ডেস্ক::বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পরে পুরো দলকে কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তারপরে তৃণমূলের একাধিক নেতা দলকে কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করেছেন। সর্বশেষ মন্তব্যটি করেছেন, জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস। তিনি বলেছেন, তৃণমূল কোম্পানি ভাল, কিন্তু ফেরিওয়ালা খারাপ। দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ ও চুরির অভিযোগ নিয়েও তিনি সাফাই দিয়েছেন।
দিকে দিকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প এবং নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের নেতাদের নাম জড়িয়ে পড়ছে এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে কার্যত সাফাই দিতে গিয়ে জলপাইগুড়ি তৃণমূলের জেলার এসটি, এসসি সেলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস প্রশ্ন করেন, ঘুষ কোন যুগে ছিল না? চোর কোন যুগে ছিল না? তিনি সিপিএম কংগ্রেসের শাসন নয়, যুগের কথা বলছেন বলে জানান। সীতাকে রাবনের চুরি করে নিয়ে যাওয়া এবং দৌপদীর বস্ত্রহরণের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তৃণমূল নেতা বলেন, মানুষের মধ্যে ভাল খারাপ দুই-ই রয়েছে। তবে দেখতে হবে ভাল কতটা আর খারাপ কতটা!
জলপাইগুড়ি তৃণমূলের জেলার এসটি, এসসি সেলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস প্রশ্ন করেন তৃণমূলের কি সবাই খারাপ। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছিলেন, খারাপ লোকেরা বাদ। বাকিদের তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে ভাল হতে বলেছিলেন।
তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস বলেন, তাদের কোম্পানি ভাল, প্রোডাক্ট ভাল কিন্তু ফেরিওয়ালা খারাপ। এই কারণে দলের নাম বদনাম হচ্ছে। কৃষ্ণ দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত কাজ করেছেন, যা এর আগে কোনও দল করেনি। কিন্তু কিছু নেতার জন্য পুরো দলের বদনাম হচ্ছে। তিনি বলেন, আবাস যোজনায় ঘর নিয়ে তৃণমূল দুর্নীতি করছে এমনটা বলা হচ্ছে। কিন্তু আসল ঘটনা হল, ২০১৮ সালে ঘরের সার্ভে হয়েছিল। আর দেখা গেল ২০২৩ সালে অনেকেই নিজের থেকে বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন। তাঁর সাফাই কেউ বেসরকারি সংস্থা কেউবা সরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছেন। সেই কারণে তৃণমূল বলছে আবার সার্ভে করা হোক। ঘর পাওয়ার জন্য কোনও নেতাকে টাকা না দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। যে টাকা দেবে সেও সমান দোষে দোষী বলে জানান ও নেতা। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাতকাটা গ্রামের জনসভা থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন শাসক দলের নেতারা। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী সেলিমা মল্লিক, আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য সদস্যারা।
এদিকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণ মঞ্চের রাজ্য সভাপতি বিশ্বনাথ চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের বিজেপি মোদী সরকার দেশকে বিক্রি করার চক্রান্ত করছে। এর বিরুদ্ধে তাঁদের আন্দোলন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। তবে এব্যাপারে তিনি বামেদের নিশানা করেন। বলেন, এরা এখনও বর্তমান সত্য বুঝতে পারছে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণ মঞ্চের অভিযোগ বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত চলছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বিএসএফ-এর ৫০ কিমি আইনে গোটা উত্তরবঙ্গে দখল করার চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এনআরসি ও সিএএ করে ফের বাংলাকে ভাগ করে সম্পত্তি ও নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে বিজেপি বন্দি শিবিরে পাঠানো চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণ মঞ্চে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করতে সভা, দাবি সেখানে উপস্থিত নেতৃত্বের।