‘প্রয়োজনে কোলকাতা অচল করে দেবো’- ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা
নিউজ ডেস্ক::ISF এর একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী সহ ১৯ জনকে পুলিশ শুধু গ্রেফতার করে নি, আদালতের কাছে হেফাজতের আবেদন করলে আদালত ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দেয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ফুরফুরা শরীফের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। ISF-র কর্মসূচিতে রণক্ষেত্র ধর্মতলা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে দফায় দফায় সংঘর্ষ! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে লাঠি চালাতে হল পুলিসকে। সঙ্গে কাঁদানে গ্যাসও। কেন? দলের প্রতিষ্ঠাদিবসে দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন ISF-কর্মী-সমর্থকরা। যখন পুলিস তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিতে বলে, তখনই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৯ জন গ্রেফতার করেছে পুলিস। একজন নাবালক বাদে বাকিদের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই নিয়েই সোমবার বিকেলে ফুরফুরা শরীফের মানুষেরা আলোচনায় বসেন। আলোচনার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলা হয়, নওয়াজ সিদ্দিকী স্রেফ বিধায়ক নন, নওশাদ সিদ্দিকি ফুরফুরা শরীফের এক পীরজাদাও। তাঁর গ্রেফতারির পর, এদিন ফুরাফুর শরীফে বৈঠকে বসেন বেশ কয়েকজন পীরজাদা। সেই বৈঠকের পর পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি বলেন, ‘আমাদের যত ভক্ত আছে, হিন্দু-মুসলমান-জৈন-আদিবাসী, আপনারা তৈরি হন, আগামীদিন কলকাতা আসার জন্য। আমরা প্রয়োজনে কলকাতাকে অচল করে দেব।” হুঁশিয়ারি দিলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি। বললেন, ‘ধর্মতলায় গিয়ে বসে পড়ব। এর শেষ দেখে ছাড়ব’।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সরকারের কাছে একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ধর্মস্থানকে আমরা শ্রদ্ধা করি। ধর্মস্থান ও রাজনীতির ময়দান তৈরি রাখা ভালো। ধর্মগুরু যদি রাজনীতিতে যুক্ত, তাহলে বোধহয় সেটা বাঞ্চনীয় নয়’। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মতে, ‘দলের সর্বোচ্চ নেতা যখন গ্রেফতার হয়, তখন সেই দল আন্দোলন করে, অবস্থান করে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে ধর্ম আর রাজনীতি যেন মিশে না যায়’। এ বিষয়ে সিপিএম পরিষ্কার বলেছে, বামফ্রন্ট চিরকাল ধর্মকে রাজনীতির আঙিনায় আসতে দেয় নি। কিন্তু সংখ্যালঘু ভোটের জন্য শাসকদল প্রথম থেকেই ধর্ম ও রাজনীতিকে মিশিয়ে দিয়েছে। এটা সেই বিষবৃক্ষের ফল।