দফায় দফায় ১৫ কোটি টাকা পৌঁছে দিয়েছিলাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে – দাবি কুন্তলের

0 0
Read Time:3 Minute, 24 Second

নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির পাঁকে এবার সম্ভবত সম্পূর্ণভাবে জড়িয়ে পড়তে চলেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব ও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, শিক্ষা ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময়ে অবৈধ নিয়োগ চক্রের অন্যতম ‘চাঁই’ হিসেবে অভিযোগের তর্জনী উঠছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকেই।

প্রাথমিক তদন্তের পরে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে নেওয়া প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার মধ্যে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা সাক্ষী রেখে পার্থের কাছেই পৌঁছে দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। কী রকম সাক্ষী? ইডি সূত্রের খবর, কুন্তল তাদের বলেছেন, পার্থকে দফায় দফায় টাকা দেওয়ার সময় গোপাল দলপতি নামে তাপস-ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে থাকতেন।

যদিও কুন্তলের এই অভিমত নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার মধ্যেই সন্দেহ আছে। তবে তারা সবদিক খতিয়ে দেখছেন।

এবার তদন্ত কুন্তল, তাপস থেকে আবার জনৈক গোপাল ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেই নাগরিক মহল মনে করছেন। তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাপস মন্ডল ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত যেমন দফায় দফায় কুন্তলকে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন, কুন্তলের দাবি অনুযায়ী তিনিও সেই ভাবে দফায় দফায় টাকা দিয়েছিলেন পার্থকে।

কুন্তল সেই সংক্রান্ত একটি খতিয়ানও তদন্তকারীদের সামনে পেশ করেছেন। কুন্তলের বয়ান অনুযায়ী, কখনও পার্থের নাকতলার অফিসে, কখনও তাঁর আবাসনের কাছে একটি শপিং মলের রেস্তরাঁয় প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সচিবের হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন তিনি।

এই মুহূর্তে গোপাল ও পার্থ দু’জনেই জেলবন্দি। ফলে কুন্তলের বয়ানের সত্যতা যাচাই করার জন্য তদন্তকারী সংস্থাকে যেতে হবে জেলে। তদন্তকারীর সংস্থা একাংশ সন্দেহ প্রকাশ করছে কুন্তলের বয়ান নিয়ে। ওই কেন্দ্রীয় সংস্থার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ওই দু’জন জেলে আছেন।

তাই কৌশলে তাঁদের নাম উল্লেখ করে থাকতে পারেন কুন্তল। তদন্তকারীদের বিপথে চালিত বা বিভ্রান্ত করার জন্যও এমন বয়ান দিয়ে থাকতে পারেন তিনি।’’ এখন সব দিকের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেই এগোতে চায় তদন্তকারী সংস্থা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!