সরস্বতী পুজোয় ‘শিক্ষা’ কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর
নিউজ ডেস্ক::সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন তিনি নিজের বিধানসভা ক্ষেত্রে নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেই সময়ই তিনি শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি নিজের বিধানসভা এলাকায় ৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেন।
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক পদের সঙ্গে অমর্যাদা হয়েছে। শিক্ষক শব্দের সঙ্গে একটা শ্রদ্ধা-ভক্তি জড়িয়ে থাকে। শিক্ষকদের দেখলে তাঁরা রাস্তা থেকে সরে যান। শিক্ষকদের দেখলে পায়ে হাত দিতে মন করে। আর আজকে কে আসল আর কে নকল তা বাছতে হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে কেউ হয়ে গিয়েছেন হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক। অভিযোগ বিরোধী দলনেতার।
সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যে গোটা শিক্ষা দফতরটাই জেলে। এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছেন, সাদা খাতা দিয়ে ৭০ হাজার লোক চাকরি পেয়েছে। এক্ষেত্রে মেধা যুক্ত শিক্ষিত কর্মপ্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সরস্বতী মায়ের কাছে অনুরোধ ছেড়ে যেও না। এই অকাল কুষ্মান্ডুদের দেখে ছেড়ে যেও না। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাবিদ, অভিভাবকদের ছেড়ে যেও না। তবে বিজেপি সব ঠিক করে দেবে। ব্লিচিং-ফিনাইল দিয়ে সব পরিষ্কার করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বুধবার তিনি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মুখে ভাইপোর নাম আসছে না। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ভাইপো আর ভাইপোর পিএ-ই তো ৭৫ শতাংশ টাকা নিয়েছে এই সব নিয়োগের আগে। তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, ১০০ কোটি তুলে কুন্তল ২৫ কোটি রেখেছে। আর ৭৫ কোটি সরাসরি ভাইপোর হাতে তুলে দিয়েছে। ভাইপোর পিএকে ধরলেই ভাইপোর নাম সামনে আসবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
যদিও তৃণমূলের তরফে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে কোনও আমল দিতে চাওয়া হয়নি। পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন জাতীয় শিক্ষা নীতির পাশাপাশি সাভারকারের বুলবুল পাখির ডানায় সেলুলার জেলের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আতঙ্কে ভুগছেন।