পুরুলিয়ার কোটা একজন পকেটে পুরেছিলেন: মমতা

0 0
Read Time:3 Minute, 52 Second

নিউজ ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় মেয়াদের সরকারের কাছে কাঁটার মতো বিঁধছে নিয়োগ দুর্নীতি। নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক নেতা গ্রেফতার হচ্ছেন। ফলে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়িয়ে চাপ সৃষ্টি করছে বিরোধী দলগুলিও। আদালতও ভর্ৎসনা করছে রাজ্যের। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিয়ে মুখ খুললেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে। শিক্ষক ও গ্রুপ ডি পদে দুর্নীতির জেরে যাঁদের নিয়োগ হয়নি, তাঁরা চাপ বাড়াচ্ছেন। কেন্দ্রী তদন্তকারী সংস্থাগুলি তদন্তে নেমে রাজ্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। আদালত একাধিকবার রা্জ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে।

এই অবস্থায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মালদহের প্রশাসনিক জনসভা থেকে নাম না করে তিনি দলের গুটি কয়েক নেতার উপর নিয়োগ দুর্নীতির দায় চাপিয়ে দেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি এতদিনে খুশি যে কয়েকটা ডাকাত-গদ্দার আমার দল থেকে বিদায় নিয়েছেন। এরাই নিয়োগ দুর্নীতিতে বেনিয়ম করেছে। পুরুলিয়া জেলার কোটা পর্যন্ত কেটে দেওয়া হয়েছিল। পুরুলিয়ার কোনো ছেলে-মেয়ের চাকরি হচ্ছিল না। চাকরির কোটা কেউ কেউ পকেটে পুরেছিলেন।


এরপর তিনি বলেন, মাননীয় আদালতকে দু-পায়ে প্রণাম করে বলব, এটা একবার খোঁজ নিয়ে দেখুন। তিনি বলেন, যাঁরা দোষ করেছেন, তাঁদের শাস্তি পেতে হবে। অন্যরা দোষ করলেও শাস্তি পাবে। আমরা কোনো দোষকে প্রশ্রয় দিই না। যাঁরা দোষ করেছে, তাঁদের সবাইকেই শাস্তি দিন।

মমতা এরপর বলেন, একজন বিশারদের মতো বলছে, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা না দিতে। যেন নিজের পকেট তেকে টাকা দিচ্ছেন। রাজ্যের থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে, অথচ রাজ্যের বকেয়া দিচ্ছে না কেন্দ্র। এই নিয়ে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, মাছের তেলে মাছ ভাজা হচ্ছে।


এরপর নিয়োগ দুর্নীতির নিয়ে মুখ খুলে তিনি এদিন বলেন, যখন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল, আমি কোনোদিন কিছু বলিনি। করণ এই নিয়ে আমার কথা বলা শোভা পায় না। আদালতে মামলা চলছে। আশা করি ন্যাহ্য বিচার হবে। সাময়িকভাবে কেউ ভুল বুঝে থাকতে পারেন।

মমতা এদিন সাফ জানিয়ে দেন, কেউ দোষ করে থাকলে আমরা তার দায়িত্ব নেব না। পুরুলিয়ার কোটা যেমন একজন নিজেক পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছিল। কীসের বিনিময়ে সেটা করা হয়েছিল, আমি আর বলতে চাই না। পরে আমি জানতে পেরে ছেলেমেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করেছি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!