অবৈধ বাড়ি নির্মাণের অভিযোগে বুলডোজার চলল রানীগঞ্জে

0 0
Read Time:4 Minute, 30 Second

নিউজ ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের মত করেই এবার অবৈধ বাড়ি নির্মাণের অভিযোগে বুলডোজার চলল খনি শহর রানীগঞ্জে। কর্পোরেশনের দাবি
পুকুর ভরাট করে, অবৈধ নির্মাণের করা হচ্ছিল আসানসোল কর্পোরেশনের ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের চুড়িপট্টি এলাকায়।এর আগেই পুকুর ভরাটের ও বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ওঠে শওকত খান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ করেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের স্ত্রী, তথা বর্তমানে ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিজেপি নেত্রী চৈতালী তেওয়ারি। অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ তুলে ২০২২ সালের ১৯ শে জুন এফআইআর করেন তিনি। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় রানিগঞ্জে। রানিগঞ্জের এক ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আসানসোল পৌর কর্পোরেশনের কয়েকজন আধিকারিকও এই অবৈধ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত, এমনি দাবি করেন তিনি। পরবর্তীতে সেই নির্মাণ ঘিরে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়। এই ঘটনার পর কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বহুবার নোটিশ জারিও করা হয়, তারপরও কোন কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ওই বাড়িটি কে ভেঙে ফেলার নোটিশও একসময় সাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই বাড়িটিতে। তারপরও আইনের দ্বারস্থ হয় ওই নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত সদস্যরা। এবার সেই নির্মাণকে কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক অবৈধ নির্মাণ করা হয়েছে, এই দাবি করেই সেই নির্মীয়মান বাড়ির তিন তলা থেকে শুরু করে সব কটি তলকে ভেঙে দিতে উদ্যোগ নিল আসানসোল কর্পোরেশন । যদিও নির্মাণকার্যে যুক্ত ওই পরিবারের সদস্য ও সংলগ্ন অংশের বেশ কিছু বাসিন্দা, এই নির্মাণ কাজ ভাঙতে বাধা দিতে আসেন। তারা দাবি করেন কোন জলাশয়ের জায়গা ভরাট করে তারা বাড়ি নির্মাণ করছেন না। শুধুমাত্র বাড়ির নকশা পাস না করেই এই নির্মাণ তারা করেছেন। যার জন্য তারা ফাইন দিয়ে তাদের বাড়িটিকে সম্পূর্ণরূপে তৈরি করার জন্য তারা উদ্যোগ নিচ্ছেন। যার বৈধতা রয়েছে বলেই দাবি করেন শওকত খান নামের ওই ব্যক্তি। যদিও আসানসোল কর্পোরেশনের আইনজীবী জানিয়েছেন তারা আদালতের নির্দিষ্ট নির্দেশ মতই ,এই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই বাড়িটি সঠিক কোন অনুমতি না নিয়ে জলাশয়ের ওপর নির্মাণ করা হচ্ছিল। যা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরও তারা আদালতে উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারেননি। যার ফলেই আদালত এই বাড়িটিকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। আর সে মতোই তারা এই বাড়িটি কে ভেঙে ফেলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এদিনের এই অবৈধ নির্মাণ ভাঙ্গার ঘটনায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনার স্থলে এসে পৌঁছন। যদিও বারংবার নির্মাণকারী সংস্থা সদস্যরা নানান যুক্তি খাড়া করে নির্মাণ কাজ ভাঙতে বাধা দিলেও, পুলিশ প্রশাসন তাদের হটিয়ে দিয়েই, ওই বাড়িটি জেসিবি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন। যেকোনো রূপ উত্তেজনাময় পরিস্থিতির মোকাবেলায় কমব্যাট ফোর্স ও মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয় এলাকায়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!