ত্রিপুরার মানিক সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল – ফল হাতে হাতে

0 0
Read Time:2 Minute, 42 Second

নিউজ ডেস্ক : দেশের উত্তর-পূর্বের সীমান্ত রাজ্য ত্রিপুরা। এমনিতে বেশ সরল-শান্ত প্রদেশ। প্রধানত বাঙালি ও একাধিক উপজাতি অধ্যুষিত এই অঞ্চলে ভোটের ‘কি ফ্যাক্টর’ ছিল ‘নাথ’ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তরা চিরকাল বামের সমর্থক থাকলেও ২০১৮তে তারাই গড়ে দিলেন বিজেপি সরকার। পটভূমি খুব স্পষ্ট। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ৬ মার্চ ২০১৮ শেষ হয়। ১৯৯৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে ত্রিপুরা শাসন করতে থাকা ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট জোট মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচন চেয়েছিল। এদিকে, সাধারণভাবে অঞ্চলটি নির্বাচনের আগে ২৫ বছর ধরে কমিউনিস্ট পার্টির রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে ছিল, যার ফলে এই অঞ্চলটিকে “রেড হোল্ডআউট” বলা হয়েছিল।

তাদের প্রাথমিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টি এসেছিল, যেটি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে একটি জাতীয় স্তরে ভারতের শাসক দল ছিল। বিজেপি একটি জাতীয়তাবাদী, ডানপন্থী দল, যাদের নীতি সরাসরি কমিউনিস্টদের বিরোধিতা করে। যাইহোক, দলটি এই অঞ্চলের আগের নির্বাচনে কোনো আসন পায়নি এবং মাত্র ১.৫% ভোট পেয়েছিল।

 ত্রিপুরার আকার অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়া সত্ত্বেও, নির্বাচনটি জাতীয় স্তরে অতিরিক্ত তাৎপর্য নিয়েছিল কারণ এটি ছিল পরের বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিজেপির সাফল্যের পরিমাপ করার জন্য একটি অ্যাসিড পরীক্ষা ছিল। এবং দলের “প্রাথমিক মতাদর্শিক শত্রু”, কমিউনিস্টদের শক্ত ঘাঁটি হাতছাড়া করার সুযোগ ছিল।


নির্বাচনের আগে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মীকে খুন করা হয়। বিজেপির অভিযোগ যে খুনগুলি সিপিআই(এম) সদস্যরা করেছে, যা দলটি অস্বীকার করে। কিন্তু আপাত শান্ত ওই প্রদেশে ক্রোধ জমা শুরু হয়। তারই পরিণাম ঘটল ২০১৮ নির্বাচনে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!