পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পালিত হয় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’
নিউজ ডেস্কঃ শুরুটা পূর্ব পাকিস্থান থেকে হলেও বিশ্বায়নের প্রভাবে দ্রুত তার প্রসার ঘটে। আর মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়। গত দু’তিন বছর করোনার কারণে মূলত ভার্চুয়ালি ভাষা দিবস পালন করা হয়।তবে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে জানা যায়, ভারতে তো যথেষ্ট উন্মাদনার সঙ্গেই ভাষা দিবস পালন করা হয়।
এছাড়াও পাকিস্থানে গত বছর ইন্দুস কালচারাল ফোরামের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে ৬ষ্ঠ পাকিস্তান মাতৃভাষা সাহিত্য মেলা আয়োজন করে। এতে দেশটির ২০টি ভাষার লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী ও অ্যাক্টিভিস্টরা অংশগ্রহণ করেন। মেলায় পাকিস্তানের ৭০টিরও বেশি ভাষা রক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানানো হয়।
কানাডায় ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। একই বছর ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও মানিটোবাতে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পালনের ঘোষণা দেয়। এডমন্টন ২০১৭ সালে প্রথমবার দিবসটি পালন করে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট আড়ম্বরের সঙ্গেই ভাষা দিবস পালন করেন।
ঢাকার শহীদ মিনারের একটি প্রতিরূপ লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেলে আলতাব আলি পার্কে স্থাপন করা হয়। দিবসটিতে স্থানীয়রা পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সংগীত পরিবেশন করেন। শহীদ মিনারের আরেকটি প্রতিরূপ বৃহত্তর ম্যানচেস্টারের ওয়েস্টউডে স্থাপন করা হয়েছে।
আবার ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ডাকবিভাগ প্রথম স্মারক সিলমোহর প্রকাশ করে। নিউ ইয়র্কে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালির চেতনা মঞ্চের উদ্যোগে জাতিসংঘ কার্যালয়ের সামনে বানানো হয় অস্থায়ী শহীদ মিনার। মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ১৯৯২ সাল থেকে প্রবাসীদের নিয়ে ২১শে ফেব্রুয়ারি পালনের আয়োজন করে আসছে।
এছাড়াও সুইডেন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব, জর্ডানসহ বিভিন্ন বাংলাদেশ দূতাবাস ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। উদ্যোগের মধ্যে থাকে দূতাবাসগুলো জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ইত্যাদি।